জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক যেমন ‘মিঠাই’ (Mithai), ঠিক তেমনই জি বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)। সময়ের সাথে সাথে হয়ত, টিআরপি তলানিতে, কিন্তু তা সত্ত্বেও মিঠাই এর জনপ্রিয়তা কম নয়। মিঠাই যেন দর্শকদের ঘরের মেয়ের। সম্প্রতি তাঁর জন্মদিন গেল, নিজেদের আপন বলেই মিঠাই এর জন্মদিনে এত শুভেচ্ছা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে শুভেচ্ছা বার্তার রমরমা বাজার। তবে এই যে মিঠাই, মিঠাই কে আমরা ধারাবাহিকে দেখতে পেলাম অনেক রূপে।
প্রথমে মিঠাই কে দেখা গেল একজন সাধারণ মেয়ের ভূমিকায়। এক সাধারণ মেয়ে যে মিঠাই বিক্রি করছে। সেই সাধারণ মেয়ে মনোহরায় ঢুকে মোদক পরিবারের বউমা হয়ে গেল। একটা বাড়ির বউ এবং তার পাশাপাশি ব্যবসায়ী। এই দুটো একসাথে ব্যালেন্স করা। মিঠাই-সিডের ভালোবাসার মুহুর্তেও মিঠাই এর এক অন্যরূপ, অন্যরকম রূপে সকলের সামনে সজ্জিত। এরপরে সে হল শাক্যর মা।
বাস্তবে একজন মা যেমনটা হয়, সন্তানের প্রতি টান, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা সবটাই পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়। পাশাপাশি মিঠির মত একটা চরিত্র যে কিনা একেবারে মডার্ন। সাধারণ নারী, প্রেমিকা নারী, মাতৃরূপী নারী, আধুনিকত্ব নারী। এক অঙ্গে অনেক রূপ। সৌমিতৃষার এই সুন্দর অভিনয়ে মুগ্ধ সকলেই। এক অনুরাগী তাই লিখেছেন, ‘মিষ্টি-মিঠি’ র মিষ্টত্ব দেখার পর ‘শাক্য-মিঠাই’ এর দৃশ্য দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলাম।প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু দেখতে পেলাম।
আজ মিঠাই যখন পাগলের মতো মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে শাক্যকে দেখতে পেলো , এক মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলো। মেয়েকে না পেয়ে হতাশ হবে নাকি অচেনা ছেলেটার প্রতি একটা টান অনুভব কেন করছে সেটা বোঝার চেষ্টা করবে কিছুই বুঝতে পারেনি। শাক্যকে মায়ের স্নেহে কাছে টেনে নিয়ে আদর করছিলো। তখন ক্ষণিকের জন্য চোখ বন্ধ করে ছেলেটার মুখে হাত দিয়ে তার অবয়ব কল্পনা করতে করতে নিজের অন্ধকার অতীতে এই ছেলেটাকেই খুঁজে বেরাচ্ছিলো, হাত কাঁপছিল কিন্তু খুঁজে পায়নি।
‘আমি মিষ্টির মা’ বলার সময়েও সেই মায়ার ঘোর থেকে বেরোতে পারেনি, মিষ্টিকে খুঁজতে এসেছিলো সেটাই বেমালুম ভুলে গিয়ে একমনে ছেলেটাকে আদর করছিলো। সৌমিতৃষার প্রতিটি মুহূর্তের ভিন্ন ভিন্ন অভিব্যক্তি নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটি দৃশ্যকে বাস্তবিক করে তোলে, কোথাও কোনো জোর নেই, কোথাও কোনো মেকি ভাব নেই । অভিনয় যে শিল্প তা তাকে দেখেই বোঝা যায়। তিন মাস পরেও কয়েক মিনিটের জন্য পুরোনো মিঠাই রানিকে পর্দায় তুলে ধরতে সৌমিতৃষা কে কোনো বেগ পেতে হয়নি।
‘মিঠাই’, ‘মিঠি’ এবং ‘মিষ্টির মা’ এই তিন ভিন্ন ব্যক্তিত্বের মানুষের মাঝে সৌমিতৃষার স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীল বিচরণ তার অভিনয় দক্ষতায় অতুলনীয়তা নিয়ে কোনো সন্দেহ জাগায় না মনে। এই প্রতিটি চরিত্রের জন্য আলাদা আলাদা অভিব্যক্তি, কথা বলার ধরন, ভিন্ন gesture, body language, কখনো একটার সাথে আরেকটা মুহূর্তের জন্যও মিশে যায়নি। এতো কঠিন একটি challenge কে যে এতো সহজেই সামলে নিতে পারে তার সামনে বাকি সব কিছু ফিকে হয়ে যায়’।