বিনোদন মানুষকে আনন্দ দেয়। তাই মানুষ ভরসা রেখেছে বিনোদন মূলক চ্যানেলের উপর। আর বিনোদন মূলক চ্য়ানেলগুলোও মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য টেলিভিষনের পর্দায় আনছেন একের পর এক নিত্য়নতুন ধারাবাহিক, যা দেখে মানুষ বেশ আপ্লুত। তাই তো আমরা দেখি একের পর এক নতুন ধারাবাহিকের বহর। পুরানো ধারাবাহিকের জায়গায় এসেছে নতুন ধারাবাহিক। তেমনই স্টার জলসার পর্দায় এসেছে নতুন ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা’ (Madhabilata)।
শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের মন কেড়েছে। এই ধারাবাহিক সোম থেকে রবি সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় টিভির পর্দায় দর্শকেরা আনন্দ সহকারে দেখেন। ধারাবাহিকটিতে মাধবীলতা আর সবুজের জুটি দেখে বেশ পছন্দই হয়েছে। মাধবীলতা একজন গাছ প্রেমী মানুষ, সে গাছ অন্ত প্রাণ, আর সবুজ শহুরে ছেলে।
সম্প্রতি, মাধবীলতা ধারাবাহিকটিতে একটি নতুন ট্র্যাক দেখা যাচ্ছে, তা হল শিক্ষাগত যোগ্যতার বড়াই। স্বাভাবিক ভাবেই সবুজ ও তার বাড়ির বাকিদের প্রচুর অহংকার টাকাপয়সার। সবুজের বোনেরা মাধবীকে অপমান করেছে সে গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশুনা করেছে বলে। তবে শিক্ষা প্রসঙ্গে মাধবী তার মেধা নিয়ে এমন এক উদাহরণ ধারাবাহিকে দেয় যা সত্যি দর্শকের কাছে খুব হাস্যকর আবার একধারে তা খুব দুঃখজনকও বটে।
মাধবীলতা জানায় সে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা এসব বিষয় পড়তে ভালোবাসে। সে তার স্কুলে পদার্থবিদ্যায় পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৮ নম্বর পেয়েছিলো। এই অবধি খুব স্বাভাবিক ছিল কিন্তু মেধাবী যখন জানায় তার বাকি দুই নম্বর কেন পাওয়া হয়ে ওঠেনি তা শুনে দর্শক হাসবেন না কাঁদবেন ভেবে পাননি। মাধবী জানায় সে যে কলম দিয়ে লিখছিল তার কালী ফুরিয়ে গিয়েছিলো আর তার কাছে আরেকটা নতুন কলম কেনার মতো পয়সা ছিলোনা।
মাধবীলতার এমন এক সংলাপ শুনে গোটা নেটপাড়ায় শোরগোল পরে গেছে। কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘আজ মাধবীলতা দেখে খুব কষ্ট হল, কলমে কালি ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে দুই নম্বর পায়নি’। আবার কেউ লিখেছেন, ‘আহারে কলমের কালির জন্য ২ নাম্বার আনতে পারিনি কি কষ্ট’। একদিকে যেমন এমন একটা সংলাপ নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে অন্যদিকে সমাজের একটা বিশেষ দিককেও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে।
বর্তমানে ধারাবাহিকে মাধবী তার দুই শ্বশুরমশাইয়ের হাতে খড়ির ব্যবস্থা করেছে। তাদের শিক্ষিত করে তুলবে। সাথে কিছু শিশুকেও নিয়ে এসেছে যাদের অর্থের অভাবে পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। মাধবী তার শ্বশুরকে জানিয়েছে তাদের সাথে সাথে বাচ্চা গুলো পড়াশুনা করবে। আর সেই বাচ্চাদের পড়াশুনার সমস্ত খরচ বহন করবেন পুষ্পরঞ্জন চৌধুরী ও তার ভাই। যদিও সে বিষয়ে এখনও সম্মতি প্রদান করেনি পুষ্পরঞ্জন। তবে মাধবীলতার এমন গল্পে অনেকে প্রশংসাও করেছেন।