স্টার জলসার বর্তমান জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘পঞ্চমী’। বহুদিন পর পর্দায় বাংলা বিনোদনের জগতে আবার এমন একটি সিরিয়াল প্রদর্শিত হচ্ছে। পঞ্চমীতে চলছে এখন রুদ্ধশ্বাস পর্ব। পঞ্চমীর জন্ম এক গভীর রহস্য যা জানেনা পঞ্চমী নিজেও। অন্যদিকে ভাগ্যের চক্রে পরে পঞ্চমী ও কিঞ্জল ঠিক মুখোমুখি হয়ে গেছে। পঞ্চমীকে সকলে বাবা নীলকণ্ঠের আশীর্বাদ ধন্যা মনে করেন। কিঞ্জলের মায়ের কাছে পঞ্চমী হয়ে উঠেছে তার ছেলের রক্ষাকবজ।
কিছুদিন আগেই ধারাবাহিকের একটি প্রোমো প্রকাশ পেয়েছিলো যে পঞ্চমীকে কিঞ্জল বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে তার সাথে। পঞ্চমীর প্রাণ বাঁচাতেই একপ্রকার। ছেলের জীবন বাঁচাতে কিঞ্জলের মা পঞ্চমীকে টাকা দিয়ে কিনে এক বছরের জন্য ছেলের পাহারাদার করে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু পঞ্চমীর বাবা মা মেয়েকে এভাবে কারুর পাহারাদার করে পাঠাতে রাজি নন।
পঞ্চমী তাদের নিজের মেয়ে না হলেও পঞ্চমীকে এভাবে টাকার লোভে ভাসিয়ে দিতে রাজি নন তারা। তাই পঞ্চমীর বাবা তাদের শর্ত দিয়েছেন, যদি পঞ্চমীকে নিয়ে যেতেই হয় তাহলে যেন কিঞ্জলের বউ করে তাকে গ্রাম থেকে নিয়ে যায় তারা। টাকা দিয়াই পাহারাদার করে নয়। কিন্তু কিঞ্জন জানে সে এক বছরের মধ্যে মারা যেতে পারে তাই সে জেনেশুনে কাকুকে বিয়ে করে তার জীবন নষ্ট করে দিতে চায় না।
এদিকে সম্প্রতি আবারও এক প্রোমো সামনে এসেছে এই ধারাবাহিকে। যাতে দেখা যাচ্ছে পঞ্চমীর কিঞ্জলের বাড়িতে গৃহপ্রবেশ হচ্ছে। তবে সে বড়ই বিচিত্র গৃহপ্রবেশ। প্রথমে পঞ্চমীকে কিঞ্জল জানায় সে তাকে সিঁদুর দেয়নি বরং রং দিয়ে বিয়ে করেছে। তাই তাদের বিয়েটা মিথ্যে। এদিকে পঞ্চমী বাড়িতে প্রবেশ করার সময় তার পায়ের কাছে বাড়িয়ে দেওয়া দুধে আলতার থালা লাথি মেরে সরিয়ে দেয়।
এদিকে সিঁড়ির রেলিং বেয়ে সাপ উঠে আসছে কিঞ্জলের দিকে তাই দেখেই পঞ্চমী ছড়িয়ে থাকা দুধে আলতার উপর দিয়েই ছুটে যায় কিঞ্জলকে বাঁচাতে। সে সাপের সামনে নিজের হাত দুটো বাড়িয়ে দেয়। আর বলে, সাপ যেন কিঞ্জলকে না দংশন করে সে যেন পঞ্চমীকে কামড়ায়। একথায় কিঞ্জল তাকে বাধা দিতে গেলেও শোনেনা পঞ্চমী। আর সাপও সত্যিই পঞ্চমীকে হাতে ছোবল মারে।
সাপের কামড়ে লুটিয়ে পরে পঞ্চমী। তবে এই প্রোমো ঘিরে আবারও এক নতুন চমকের ঝলক পাওয়া গেছে ধারাবাহিকে। পঞ্চমীকে সাপে ছোবল দেওয়ার সাথে সাথে তার শরীর সাপে বদলাতে শুরু করেছে একটু একটু করে। যদি সকলে জানতে পেরে যায় সে একটা সাপ? এতো তাড়াতাড়ি কি সকলে জেনে যাবে পঞ্চমীর আসল পরিচয়। তা জানা যাবে মূল পর্বেই।