স্টার জলসার (Star Jalsha) বর্তমান জনপ্রিয় সিরিয়ালের একটি হল সদ্য শুরু হওয়া ‘পঞ্চমী’ (Panchomi)। প্রথম সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় একেবারে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে গেছে। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি দর্শকের নজর কেড়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। আসলে বর্তমান ধারাবাহিকের ছকে বাঁধা গল্প থেকে কিছুটা ভিন্ন পঞ্চমীর গল্প। স্টার জলসায় প্রথমবার ইচ্ছাধারী সাপের কাহিনী দেখা যাচ্ছে। আর তাই এই গল্পে কিছুটা হলেও দর্শকের মন মজেছে।
ইতিমধ্যে গল্পে অনেক রহস্যের আভাস পাওয়া গেছে। আর গল্পের সব থেকে বড় রহস্য হল পঞ্চমীর জন্মরহস্য। যা একমাত্র নীলকণ্ঠ মন্দিরের পুরোহিতই জানেন। সবটা জেনেও তিনি পঞ্চমীকে সব কিছু থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। তাকে একজন মানুষের জীবনে মানুষ হিসাবে বাঁচতে সাহায্য করেছেন। এমনকি পুরোহিতের স্ত্রীও জানেননা পঞ্চমী আসলে মানুষ নয়।
তবে ভাগ্যচক্রে পঞ্চমী নিজের বিধির চক্রবুহ্যে। সে নিজের পরিচয় সম্পূর্ণ রূপে জানতে না পারলেও নিজের সম্পর্কে কিছু আশ্চর্য বিষয় সে অনুভব করতে শুরু করেছে। যে পঞ্চমী কোনোদিন সাঁতার শেখেনি সে জলের তলায় টানা অনেক্ষন থাকার পরেও বেঁচে ফিরে আসে। আর সেখান থেকেই পঞ্চমীর জীবন বদলাতে শুরু করেছে।
অপরদিকে ভাগ্যের টানে কিঞ্জল এসে পড়েছে পঞ্চমীর গ্রামে। কিঞ্জলদের গুরুদেবের পঞ্চমীর কথা শোনার পর থেকেই দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে পঞ্চমী একজন ইচ্ছাধারী সাপ। তবে তিনি এখনও তা প্রমান করতে ব্যর্থ। সম্প্রতি, ধারাবাহিকের একটি প্রোমো সামনে এসেছে। আর এই প্রোমো রীতিমত আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে ধারাবাহিকটিকে।
প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চমীর গ্রামের গিন্নিমা নীলকণ্ঠ মন্দিরে এসে খবর দিচ্ছেন পঞ্চমী একজন ইচ্ছাধারী সাপ একথা গোটা গ্রামে রটে গেছে। আর সকলে তাকে খুঁজছে। তিনিও চান পঞ্চমীকে বাঁচাতে কিন্তু কি উপায়ে তা সম্ভব জানা নেই। এরই মাঝে পঞ্চমীর বাবা অর্থাৎ পুরোহিত মশাই পঞ্চমীকে বলেন শহরে পালিয়ে যেতে।
কিন্তু পঞ্চমীর মা রাজি হননা মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে শহরে পাঠাতে। আর এই সব সমস্যার হাত থেকে পঞ্চমীকে বাঁচাতে তার রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে কিঞ্জল। সে পঞ্চমীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে তাকে বিয়ে করে শহরের পথে রওনা দিয়েছে। এবার পঞ্চমী তার গ্রাম ছেড়ে শহরের পথে। কিন্তু সে কোথায় গিয়ে পড়তে চলেছে তা তার অজানা। যে বাড়িতে সে যাচ্ছে সেখানেই লুকিয়ে আছে তার মায়ের মৃত্যুর বড় রহস্য। এবার কি হতে চলেছে পঞ্চমীর জীবনে তা জানতে গেলে দেখতে থাকেন পঞ্চমী।