জি বাংলার ‘ফুলকি’ শুরু থেকেই দর্শকমনে আলাদা জায়গা তৈরী করে নিয়েছে। বরাবরই এই সিরিয়ালকে টিআরপি তালিকায় প্রথম দশে দেখা গেছে। বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে বেশ পরিবর্তন এসেছে। ফুলকি এতদিনে তার ভালোবাসার মানুষকে মন থেকে পেয়েছে। রোহিত স্ব-ইচ্ছায় শালিনীকে ভুলে ফুলকিকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে।
আর শালিনীর মুখোশ রোহিতের সামনে এনেছে ফুলকি। রোহিত নিজেই শালিনীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আপাতত সিরিয়ালে শালিনী নামক কালো ছায়া নেই। চলছে অন্য গল্প। ফুলকি এখন অংশু আর পারমিতার নিয়ে নিয়ে মেতেছে। সবাই পারমিতার একটা সুখী সংসার চাইলেও পারমিতার শাশুড়ি তা চাননা।
তিনি নিজের ছেলের বৌকে অন্য কারুর স্ত্রী হতে দেবেননা। তাই বিয়ে আটকাতে বেশ বড়সড় এক কান্ড ঘটিয়ে বসেন তিনি। পারমিতাকে জলের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। আর সকলের চোখের আড়ালে তাকে বন্দি করে রাখেন। সকলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পারমিতাকে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে জেঠিমনি কিছুতেই অংশু আর পারমিতার বিয়ে মেনে নিতে রাজি নয়।
আরও পড়ুনঃ ‘কখনো ফিরবো না!’ বাড়ির সামনে এসেও অভিমানে মুখ ফিরিয়ে চরম প্রতিজ্ঞা রুপার
তিনি পারমিতা সুখী হবেনা এমনটাই বলে যান বারবার। তবে জেঠুমনি পারমিতাকে মেয়ের মতই দেখেন বৌমার চোখে না দেখে। তাই মেয়ের প্রতি এতবড় অন্যায় তিনি মেনে নিতে পারেননি। জেঠিমনিকে ছাড়াই পারমিতার বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। আর অবশেষে পারমিতা আর অংশু একসাথে ছাদনাতলায় পৌঁছায়। জেঠুমনি ফুলকিকে বর বরণের দ্বায়িত্ব দেন।
এদিকে, রিকি অংশুর বিয়েটা মেনে নিতে না পেরে তার বাবা-মা কে বিয়ের খবরটা দিয়ে দেয়। অংশুর বাবা-মা পারমিতাকে মেনে নিতে নারাজ ছিলেন বরাবর। এবার দেখার বিয়েটা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয় কিনা? ফুলকি কি পারবে দুটো ভালোবাসার মানুষকে এক করতে সব বাঁধা কাটিয়ে?