Puber Moyna : জি বাংলার (Zee Bangla) সদ্য শুরু হওয়া সিরিয়াল গুলির মধ্যে ‘পুবের ময়না’ অন্যতম। এই ধারাবাহিক দুই বাংলাকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ময়না সন্মান বাঁচাতে পালিয়ে পৌঁছে যায় ভারতে। সেখানে সে রোদ্দুরদের বাড়িতে আশ্রয় পায়। যার মাও একজন বাংলাদেশের মানুষ। তার নিজের দেশ তার কাছে এখন কেবল স্মৃতিতে বেঁচে আছে।
ময়নাকে পেয়ে রোদ্দুরের মা বেশ খুশিই হয়েছেন। কিন্তু একটা অচেনা মেয়ে হিসাবে এভাবে কাউকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রোদ্দুরদের বাড়ির সকলেই বেশ চিন্তাতেও আছে। অন্যদিকে, ময়না কাউকে বলতেই চায়না সে কে? কোথা থেকে আর কিভাবে ঐখানে পৌঁছেছিল? কারণ ময়নার ভয় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে সে আর কখনও বাড়ি ফিরে যেতে পারবেনা।
সেই ভয়েই ময়না এখনও নিজের সবটা তাদের বলে উঠতে পারেনি। তবে তাদের বোঝা না হতে চেয়ে ময়না নিজে থেকেই রোদ্দুরদের বাড়ির কাজে হাত লাগিয়েছে। সে ঘর ঝাড়া থেকে রান্না করা সবেতেই এগিয়ে গেছে। তবে বাড়ির টান বাবা-ভাইয়ের সাথে কথা বলতে না পেরে ময়না বড়ই অস্থির হয়ে পড়েছে। তাই সে বাবাকে ফোন করবে বলে একটা কান্ড ঘটিয়ে বসে।
আরও পড়ুনঃ সফল হল রুদ্রর চাল! শালিনীকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপে বড় পদক্ষেপ নিল রোহিত
কাউকে না জানিয়ে রোদ্দুরের ব্যাগ থেকে ১০০ টাকা বার করে নেয়। সে চুরির উদ্দেশ্যে টাকাটা না নিলেও তার টাকা এভাবে না বলে নেওয়াটা কেউই ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেনা। রোদ্দুরের মা তাকে চড় পর্যন্ত মারে। কিন্তু ময়না সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করে সে চুরি করতে চায়নি। কিন্তু কেউ তাকে বিশ্বাস করতে পারেনা।
সম্প্রতি, এই ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ময়নাকে চুরির দায়ে রোদ্দুর পুলিশে দেবে বলে ঠিক করে নিয়েছে। আসলে ওই প্রোমোতে যা দেখা যাচ্ছে তা হল গুঞ্জা হঠাৎ করে রোদ্দুরকে এসে জানায় যে সে তার পারফিউম টা খুঁজে পাচ্ছেনা। তখন স্বাভাবিক ভাবেই রোদ্দুর সবার আগে ময়নাকে সন্দেহ করে আর জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু ময়না সে চুরি করেনি জানালে রোদ্দুর পুলিশে খবর দিতে যায়।