জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক। এই নতুন ধারাবাহিকের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক হল ‘রাঙা বউ’ (Ranga Bou)। ত্রিনয়নী জুটি এতটাই হিট করেছিল যে আবার এই ধারাবাহিকে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। পাখি আর কুশের চরিত্রে। বেশ জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক। শুরু থেকেই নেটপাড়ায় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে ধারাবাহিকটি। সর্বদা একে অপরের পাশে পাশে থাকে কুশ আর পাখি।
কুশকে তার বাড়ির কেউই সহ্য করতে পারে না। শুধু কুশকে নয়, পাখিকেও তারা সহ্য করতে পারে না। ভালোবাসে না কেউই। সবাই কাজ করায় কুশকে দিয়ে। সবসময় পাখি আর কুশকে অপদস্থ করতে উদ্যত, বাড়ির বাকি সদস্যরা। কিন্তু কুশ সকলেরই কথা ভাবে। তা সত্ত্বেও তাকে কেউই সহ্য করতে পারে না। আর এটা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছে পাখি। সম্প্রতি একটি প্রোমোতে দেখা গেছে, কুশ বাড়ির জন্য ইলিশ মাছ এনেছে।
বাড়িতে ইলিশ মাছ আনায় খেতে বসে কুশ জানায়, সে দু হাতা ভাত বেশি খাবে। কিন্তু কুশের ফুল বৌদি জানায়, কুশের জন্য মাছ তুলে রাখতেই নাকি ভুলে গেছে। কুশ জানায়, তাহলে তোমরা খেলেই আমি খুশি। কিন্তু এই কথার পর কুশের পাশে এসে দাঁড়ায় পাখি। কুশের জন্য মাছ নিয়ে আসে। পাখি জানিয়ে দেয়, বাড়িতে সবার পাতে মাছ পড়লে আপনিও পাবেন, আজ থেকে সে দায়িত্ব আমার।
কুশের চরিত্রে অভিনয় করছেন গৌরব রায়চৌধুরী এবং পাখির চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি দাস। শ্রুতি দাসের চরিত্র সকলেরই বেশ মনে লেগেছে। সকলেরই এই চরিত্র বেশ পছন্দের। আর তাই এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি এপিসোডের সিনটা দেখার পর একটা কথাই বারবার মনে হয়েছে ‘পাখি’ চরিত্রে শ্রুতি দাস ছাড়া কাউকে কল্পনা করা যায় না।
প্রথম দিন থেকে পাখিকে যেভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলছেন যেভাবে এই চরিত্রটিকে তিনি উপহার দিচ্ছেন সেটা যেন প্রত্যেকটি এপিসোডে পরিপূর্ণতা পায়। কী সকরুণ আর্তি। কী অদ্ভুত অভিমান। প্রতিটা অভিব্যক্তির অনুভূতির প্রতিটা স্তরের কী সহজ সাবলীল স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ! সত্যি অসাধারণ। প্রকৃত অর্থেই তিনি পাখি হয়ে উঠেছেন। কখনো পাখির মতো উচ্ছল আবার কখনো সমুদ্রের মতো গভীর’।