টলিপাড়ার যে ধারাবাহিক এখন চর্চার শিরোনামে রয়েছে, সেই ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকটি দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একদিকে যেমন পেয়েছে জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে তেমনই হতে হয় কটাক্ষ। এই ধারাবাহিক নিয়ে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর প্রধান কারণ হল ধারাবাহিকে শাশুড়ির কান্ডকারখানা। এত দজ্জাল শাশুড়ি, মানুষ আগে দেখেনি।
বর্তমানে শিমুলের শাশুড়ি নিয়ে কটাক্ষ চললেও, এর আগে কটাক্ষ উঠেছিল পর্ণার শাশুড়িকে নিয়ে। পর্ণার শাশুড়ির কটাক্ষ মিটে যাওয়ার পর এবার শিমুলের শাশুড়ি নিয়ে কটাক্ষ চলছে। এই কটাক্ষের জবাব দিলেন শিমুলের শাশুড়ির চরিত্রের অভিনেত্রী রীতা দত্ত চক্রবর্তী (Rita Dutta Chakraborty)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সমালোচনার উত্তর দিলেন।
ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা গেছে, ফুলশয্যার দিন ফুলশয্যার খাটে, লজ্জা সরম খুইয়ে ছেলের পাশে শুয়ে আছে মা। আর নতুন বৌয়ের জায়গা হয়েছে, খাটের পাশের চেয়ারে। ছেলে পরাগের কোনও আপত্তি নেই, পরাগও মায়ের নেওটা। সেও মায়ের পাশে শুয়ে পড়ে। এই ঘটনা দেখেই নেটপাড়ায় দেখা গেছে ট্রোলের বন্যা।
এক নেটিজেন এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘মা ও ছেলের সম্পর্ক টাকে কোথায় নামিয়ে এনেছে। নোংরামিতে বাকি সব সিরিয়ালের থেকেও জঘন্য মানুষের রূচিবোধের এতটাই অধঃপতন হয়েছে যে এইসব সিরিয়ালও দেখছে। আর এই সব সিরিয়াল দেখেই সমাজটা দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।’ এই সব ট্রোলের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী জানান, ‘লেখক কিছু ভেবেই নিশ্চয় লিখেছেন, যাঁরা ছেলের সঙ্গে মায়ের ফুলশয্যা এই হিসেবে কটুক্তি করেছেন, তাদের বলব বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন।’
এর পাশাপাশি তিনি এও জানান, আমার ছেলে বাইরে থাকে, কলকাতায় এলে একসাথে শুই। এ ধরনের মানসিকতা মেনে নেওয়া যায় না’। এর সাথে আরও সংযোজন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকি না , তাই কোথায় কি হচ্ছে তার সব খবর আমি রাখিনা। তবে শহুরে শাশুড়িরা এরকম হয় না’। অন্যদিকে বৌমা মানালি, এ প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি।