ধারাবাহিক মানেই হবে সমালোচনা হবে প্রশংসা। এই দুটো জিনিস থাকবেই। তবে প্রশংসার থেকে বেশি হয় সমালোচনা। সমালোচনার জন্য এই ধারাবাহিক থাকে সবার শীর্ষে। এই সমালোচনার বিষয় কখনো কাহিনী নির্ভর আবার কখনো চরিত্র নির্ভর। ইতিমধ্যেই যে ধারাবাহিক রয়েছে সমালোচনার শীর্ষে , সেটি হল জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকের শিমুলের শাশুড়ি চরিত্রটি নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে নেটপাড়ায়।
শাশুড়ি মা যে কতটা দজ্জাল এবং কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে, তা এই ধারাবাহিক দেখলেই বোঝা যায়। কয়েকদিন আগে ফুলশয্যার রাতে ছেলের পাশে শুয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছিল, আবার সম্প্রতি দেখা গেছে বউমা নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছে বলে, সেই নিয়ে শাশুড়ি সম্পর্কটাকে ডিভোর্স পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে। এরকম চলতে থাকলে কটাক্ষ তো ধেয়ে আসবেই। আর সেই কটাক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী ঋতা দত্ত চক্রবর্তী (Rita Dutta Chakraborty)।
দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী । তাঁর সম্বন্ধে যে এত রকম কটুক্তি হয়, এটা নিয়ে কি তিনি মনখারাপ করেন? এর উত্তরে তিনি যা বললেন, তা শুনে সকলেই অবাক হবেন। তিনি জানান, ‘যখন যে চরিত্রে কাজ করি, তার প্রতি একটা প্রেম হয়ে যায়। যখনই স্টুডিওতে ঢুকতে শুরু করি, তখনই সবাই বলতে থাকে, দিদি এটা না ভাইরাল হয়ে গেছে, দিদি ওটা না ভাইরাল হয়ে গেছে।
দেখো লোকে কি বলছে? তোমার খারাপ লাগে না। আমি বললাম না। তখন আমি তাদের বলি , যখন দীনবন্ধু মিত্র নীলদর্পণ নাটক লিখেছিলেন, তখন নীলকর সাহেবের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফি। এই নাটক দেখতে এসেছিলেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর। তাঁর অভিনয় দেখে বিদ্যাসাগর জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন। যখন সব শেষ হয়ে গেল, সবাই যখন নমস্কার করছেন, অর্ধেন্দু শেখর বাবু ওই জুতোটাকে মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘এ যেন বাস্তব কাহিনী’, ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের লেখনীকে কুর্নিশ জানালেন দর্শক!
তো উনি বলেছিলেন এই চরিত্রের জন্য এটাই আমার স্বীকৃতি। তো আমিও এখন সেই ভাবেই ভাবি। এটাই আমার কাছে আশির্বাদ।’ সত্যিই তাই একজন অভিনেতার স্বীকৃতি তো এখানেই। দর্শকরা যখন চরিত্রের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটা ভালো হোক বা মন্দ, তখনই তো বোঝা যায় তাকে মানুষজন দেখছেন।