জি বাংলার পর্দাতেও শুরু হয়েছে দুই বোন আর এক নায়কের কাহিনী নিয়ে ধারাবাহিক আর স্টার জলসাতে(Star Jalsha)ও শুরু হয়েছে দুই বোন এক নায়কের কাহিনী। প্লটের প্রধান চরিত্র সংখ্যা এক থাকলেও চরিত্রের বৈশিষ্ট্য অনেকটাই আলাদা। জি বাংলার ইচ্ছে পুতুলে ফুটে উঠেছে বোনে বোনে হিংসার কাহিনী। আর স্টার জলসার ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara) সিরিয়ালে ফুটে উঠেছে দুই বোনের ভালোবাসার কাহিনী। যা ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে।
সন্ধ্যা এবং তারা দুই বোন, তারা একে অপরের প্রাণ। তারা যখনই জেনেছে তার ভালোবাসার মানুষ আকাশনীল হতে চলেছে দিদি সন্ধ্যার স্বামী, তখনই সে তাদের রাস্তা থেকে সরে যায়। সে কখনোই দিদির নতুন জীবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং দিদির জীবনকে সুন্দর করে তুলতে নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়েছে। তারা সবটা মেনে নিলেও মানতে পারেনি আকাশনীল।
আকাশনীল বিয়ে করলেও সে এখনো তারাকেই চায়। তারার সাথে দেখা করার পরিকল্পনা করে। আকাশ জানেনা তারার দিদিই সন্ধ্যা। আকাশ জানিয়ে দেয় তার পছন্দ নয় সন্ধ্যাকে। সন্ধ্যাও নিজেকে প্রস্তুত করছে আকাশের মনের মতো হওয়ার। যাতে আকাশ তাকে ডিভোর্সের কথা না বলতে পারে। কিন্তু আকাশ যে তাকে চায় না।
সন্ধ্যা আকাশের থেকে শুনতে না চাইলেও আকাশ জোর করে সন্ধ্যাকে ডেকে আনে। আকাশ বলে, ‘খুব পালিয়ে বেরানোর প্ল্যান করছিলেন না, এবারে কোথায় পালাবেন? যেটা বলব সেটা শুনবেন।’ এরপর যখন ডিভোর্সের কথা জানায় সন্ধ্যা তখন রেগে যায়। সন্ধ্যা জানিয়ে দেয় সে ডিভোর্স দেবেনা। কিন্তু আকাশও নাছোড়বান্দা। সে জানায় সন্ধ্যা সই না করলে জোর করে তার টিপ সই নেবে।
আরও পড়ুনঃ মাঝপথেই ধারাবাহিক ছাড়লেন ‘সন্ধ্যাতারা’ অভিনেত্রী? কপালে চিন্তার ভাঁজ কুশলীদের!
সন্ধ্যা রেগে গিয়ে নিজের আঙুল কাটতে যায়, আকাশ জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয়। মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে আকাশ বলতে থাকেন, শান্ত হন মাথা ঠান্ডা করুন। সন্ধ্যা ভাবে সারাজীবন এই ভাবে আমাকে বুকের মধ্যে রেখে দিলে তো ল্যাটা চুকে যায়। এই দৃশ্য দেখে দর্শকরা বেশ আনন্দিত। হয়ত এভাবেই একদিন আকাশের মনে জায়গা করে নেবে সন্ধ্যা।