স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara) ধীরে ধীরে দর্শক মহলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই ধারাবাহিকের গল্প শুরু হয়েছিল এক ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ককে ভিত্তি করে। তবে অন্যান্য সিরিয়াল গুলির তুলনায় এই ধারাবাহিকের গল্প কিছুটা ভিন্ন। এখানে ত্রিকোণ প্রেম দেখানো হলেও, হিংসার গল্প ফুটে ওঠেনি। বরং ফুটে উঠেছে ত্যাগের গল্প।
সন্ধ্যা আর তারা দুই বোন। পরিস্থিতির চাপে আর ভাগ্যক্রমে তাদের দুই বোনের ভালোবাসার মানুষ একজনই। আকাশনীল, সম্ভ্রান্ত পরিবারের শিক্ষিত, আধুনিক ছেলে। যে কেবল তারাকে ভালোবাসে। কিন্তু সন্ধ্যার সাথে সাত পাঁকে বাঁধা পরে আকাশনীল। দিদির মনের মানুষের খবর জানতে পেরে তারা দিদির সংসার ভাঙার চেষ্টা করেনি।
বরং নিজেকে সব কিছু থেকে গুটিয়ে নিয়ে দূরে সরে গেছে। তবে আকাশনীল আর সন্ধ্যা এই সত্যিটা জানেনা। সন্ধ্যা আকাশকে তার মনে জায়গা দিয়ে ফেলেছে। ওদিকে আকাশ তারাকে ফিরে পেতে চায় নিজের জীবনে। তারা সর্বত ভাবে চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা করতে পারলনা। আর আজ তাই পরিস্থিতি সন্ধ্যা, তারা আর আকাশনীলকে এক ছাদের তলায় এনে প্রায় মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
যারা এই ধারাবাহিকটি নিয়মিত দেখেন তারা জানেন যে, সন্ধ্যাকে আকাশ ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যা এত সহজে হাল ছাড়তে নারাজ। তাই সে বরের কাছ থেকে ১ মাস সময় চেয়েছিল নিজেকে তার মনের মত করে গড়ে তোলার সুযোগের জন্য। তবে আকাশ সন্ধ্যার পাগলামি মেনে না নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আর বেরিয়েও পরে।
আরও পড়ুনঃ ভালোবাসা চির ধরাবে বোনেদের সম্পর্কে, এতদিন পর ভিলেন হয়ে ফিরছে ‘তারা’ অমৃতা!
সন্ধ্যাও কোনোকিছু না ভেবে আকাশের পিছু নেয় তারই গাড়ির ডিকিতে। এরপর সন্ধ্যা আকাশের সাথে কলকাতায় এসে পরে। তবে সে মাঝরাস্তায় হারিয়ে যায়। অনেক কান্ড করে বোনের মেসের ঠিকানা জোগাড় করে সেখান অবধি পৌঁছে যায়। এদিকে আকাশও তারার সাথে দেখা করতে তার মেসে পৌঁছে গেছে। এবার এত চেষ্টার পরেও তাদের মুখোমুখি হবে নাকি কোনোভাবে সত্যিটা অধরাই থেকে যাবে সেটাই দেখার।