স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি অন্য ধারার ধারাবাহিক হল ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara)। এখানে দেখানো হয়েছে দুই বোন সন্ধ্যা ও তারা একে অপরের শত্রু নয় একে অপরের প্রাণ। একজনের জন্য আর একজন প্রাণ দিয়ে দিতেও পারে। আর তাই তো এক বোন তার দিদির জন্য নিজের ভালোবাসাকেও বিলিয়ে দিয়েছে। ধারাবাহিকটি ত্রিকোণ প্রেমের হলেও অপরজন ভিলেন নয়।
এরকম ধারাবাহিক খুব একটা দেখা যায়না এই অনন্যতার জন্যই ধারাবাহিকটি সকলের মন কেড়ে নিয়েছে। দুই বোন শত্রু না হলেও নায়ক যেন এক বোনের কাছে শত্রু হয়ে উঠেছে। তারা নিজের ভালোবাসা দিদিকে বিলিয়ে দিয়েছে, কিন্তু সেই ভালোবাসা সন্ধ্যাকে মেনে না নিয়ে তারাকেই কাছে পেতে চায়। সন্ধ্যার মতো গেঁয়ো মেয়েকে সে চায় না। সে সন্ধ্যাকে ডিভোর্সের কথা বলেছে।
কিন্তু সন্ধ্যা রাজি নয় হার মানতে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই নিজেকে যোগ্যতম করে উঠতে মরিয়া হয়েছে। ডিভোর্সের কথা শুনে এখন আরও মরিয়া সে। বারবার সে নিজেকে সাজিয়ে নিতে চাইছে আকাশের মতো করে। সন্ধ্যা জানে আকাশের মনের মানুষ কলকাতায় আছে, এবার তার কাছে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। সন্ধ্যা জানেনা আকাশের সেই মনের মানুষ যে তার নিজেরই বোন।
সাম্প্রতিক প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, আকাশকে জোর করে টেনে নিয়ে দেবতার আসনে বসিয়ে পায়ে গাঁদা ফুলের মালা পড়াচ্ছে। হাত জড়ো করে বলছে, আপনি আমাকে আমার যোগ্য করে নিন। তারপর ভক্তিভরে পূজোর ডালা সাজিয়ে গান করতে করতে পূজা করে। এরপর আকাশ বিরক্ত হয়ে উঠে চলে যায়। তারপর আকাশ বেরিয়ে যায় মাকে বলে যায়, ‘আমি কলকাতায় গেলাম মা আর ফিরব না।’
আরও পড়ুনঃ তারা অতীত! ভালোবেসে সন্ধ্যাকে কাছে টেনে নিল আকাশনীল! বেজায় খুশি দর্শক
এরপর আকাশের পিছু পিছু বেড়িয়ে যায় সন্ধ্যা। বলে যায় ‘আমি কলকাতায় গেলাম মা ওনাকে নিয়েই ফিরব’। এরপর দেখা যায় আকাশ তারাকে ফোন করে জানায় সে আসছে। তারা অবাক হয়ে যায় শুনে। আর যে গাড়ি করে আকাশ তারার কাছে যাচ্ছে সেই গাড়ির ডিকির ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে সন্ধ্যা। এবার কী হবে? সব কি জেনে যাবে সন্ধ্যা? ভালোবাসার টান কি শেষ হয়ে যাবে? দুই বোন কি একে অপরের শত্রু হয়ে উঠবে? এর উত্তর মিলবে আগামী এপিসোড গুলোতে।