স্টার জলসার (Star Jalsha) দর্শকদের অতি পরিচিত ধারাবাহিক হল ‘সন্ধ্যাতারা’। ধারাবাহিকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দুই বোন সন্ধ্যা এবং তারা। সন্ধ্যার চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা আর তারার চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অমৃতা দেবনাথ। এই দুই বোনের একটাই নায়ক আকাশনীল। আকাশনীলের চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরজিৎ ব্যানার্জী।
ধারাবাহিকটি যখন শুরু হয়, তখন দেখা গিয়েছিল এক বোন আর এক বোনকে এতটাই ভালোবাসে যে তার জন্য নিজের কাছের মানুষটাকে অন্যজনের কাছে জলাঞ্জলি দিয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যা এবং তারা দুজনেই আকাশনীলকে ভালোবাসে। তারা যখন জানতে পারে দিদি ভালোবাসে আকাশনীলকে তখন নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করে দিদির কাছে ভালোবাসার মানুষটিকে সমর্পণ করে। এবার ঠিক উল্টোটা হতে চলেছে।
বর্তমানে যে পর্ব সম্প্রচারিত হচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তারা প্রেগন্যান্ট। তারা এখন সন্ধ্যার বাড়িতেই আছে। তারার সাথে আকাশনীলের কথাবার্তা শুনে সন্ধ্যার মনে সন্দেহ জাগে আকাশনীলই তারার সেই প্রেমিক। এই সত্য জেনে সন্ধ্যা কি করবে? সন্ধ্যা তার বোনের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেবে। একটা সময় তারা তার প্রেমিককে দিদির জীবনে এনে দিয়েছে। এবার সন্ধ্যা ঠিক এটাই করবে।
ধীরে ধীরে সে তারা আর আকাশনীলের জীবন থেকে সরে যাবে। এটা করলে সন্ধ্যা নিজে খুব কষ্ট পাবে ঠিকই। কিন্তু বোনের জন্য সে আত্মত্যাগ করবেই। তাই সে রেললাইনে মরতে যায়। কিন্তু আকাশনীল তাকে বাঁচিয়ে আনে। সন্ধ্যা কাঁদতে কাঁদতে আকাশনীলকে বলছে, কেন আপনি বাঁচালেন, আমি তো মরতে চেয়েছিলাম।
আমি চলে গেলেই সবাই ভালো থাকবে। আমার বোন ভালো থাকবে। হাসিখুশি সন্ধ্যার এই কান্নাভেজা আত্মত্যাগ দর্শকদের মন কেড়ে নিচ্ছে। তাই তো দর্শকরা বলছেন, ‘আজ আবার ও অন্বেষা দিদির অভিনয় সবাই কে অবাক করে দিলো। চোখে জল আনতে বাধ্য। কত অনায়াসে কথাগুলো বলছিল মনে হচ্ছিল সত্যি বাস্তব জীবনে যেনো তার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। সেরার সেরা অভিনেত্রী হলো সন্ধ্যা।’