টলি পাড়ায় প্রেম – বিয়ে- বিচ্ছেদ এটা নতুন কিছু নয়। চলতেই থাকে। হুটহাট করে কেউ প্রেমে পড়ে যায়, আবার সেই প্রেমের জল বেশিক্ষণ গড়াতে না গড়াতেই বিচ্ছেদের রূপ নেয়। সম্প্রতি অভিনেতা সায়ন্ত মোদকের (Sayanta Modak) জীবনেও এরকম ঘটেছে। দেব চন্দ্রিমা সিংহ রায়ের সাথে বিচ্ছেদের পর আবারও প্রেমে পড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা মিত্রের (Priyanka Mitra) সাথে। কিন্তু সেই প্রেমের জল বেশিদিন গড়াতে না গড়াতেই একেবারে বিচ্ছেদের মুখে এই সম্পর্ক।
‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে কাজ করতে করতেই দুজনের প্রেমজ সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সেই প্রেম টিকলনা। দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে প্রিয়াঙ্কা জানান বিচ্ছেদের কথা। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘ একজন ছিল, যে দু মিনিট ছাড়া ছাড়া ফোন করে বলত, বাবু খেয়েছো, বাবু কী করছো। আবার কখনো ফোন করতে ভুলে গেলে বলত, বাবু তুমি আমায় ফোন করলে না তো। এরপর আবার একটা প্রেম করলাম, তাকে ফোন করলে ফোন ধরেনা। গায়েব হয়ে যায় দিনের পর দিন। জানিই না কোথায় যায় দিনের পর দিন। এবার একটা সুস্থ প্রেম করতে চায়’।
প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন তাঁর বিচ্ছেদের কারণ। কিন্তু সায়ন্ত কী বলছেন? দেব চন্দ্রিমার সাথে বিচ্ছেদের আগে থেকেই প্রিয়াঙ্কার সাথে সায়ন্তর খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। আর এই বন্ধু থেকেই শুরু হয় প্রেম। বিচ্ছেদের পর সঙ্গী হিসেবে প্রিয়াঙ্কাকে কাছে পেয়েছিলেন সায়ন্ত। সায়ন্তর কথায়, ‘আমি সদ্য বিচ্ছেদ থেকে উঠেছি, আমারও কিছুটা সময় লাগত , কিন্তু আমার থেকে প্রিয়াঙ্কা যে এক্সপেকটেশন রেখেছিল, সেগুলো আমি দিতে পারিনি। তবে ওর এক্সপেকটেশন ভুল ছিল না। অপর দিকের মানুষটা সময় দিলে হত।
আর একটু সময় দিলে, ধীরে সুস্থে এগোলে ভালো হত। তাড়াহুড়োতে জিনিসটা খারাপ হয়েছে।আমি ভেবেছিলাম প্রিয়াঙ্কা বুঝবে। যে মানুষটা সকাল ৮ টায় বেড়িয়েছে। দুটো শ্যুট করেছে। দুটো শ্যুট এর মাঝে কনটেন্ট শ্যুট করতে গেছে । রাতে সেই কনটেন্ট টাকে এডিট করে ব্র্যান্ড কে পাঠিয়েছে । রাতে আবার পুরো ভ্লগ টাকে এডিট করে, সকালে লাইভ করবে। আবার শ্যুটিং এ যাবে। আমি ভেবেছিলাম এই শিডিউল টা বুঝবে। কেন আমি ফোন তুলছিনা, ব্যস্ত আছি। এমন না যে ও জানত না। ও সবটাই জানত।
সবসময় ম্যাসেজে কথা হত। আমি জানি না কি করে দু ঘন্টা টা, দু সপ্তাহে টেনে নিয়ে এল। আমি কারোর সাথে দিনের পর দিন কথা না বলে থাকতে পারিনা, পাগল হয়ে যাই। জানিনা কেন আমার সম্পর্কে এমনটা বলল।’ এমনকি দেব চন্দ্রিমা এবং প্রিয়াঙ্কাকে সায়ন্ত সরি বলেছেন। কারণ সে মনে করে তাঁর জন্য এই দুই মানুষকে সকলের খারাপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে।