১০০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ শাশুড়ি যে কতটা দজ্জাল হয়, তার প্রমাণ তুলে ধরে বাংলা ধারাবাহিক গুলো। অনেকেই সেই সব শাশুড়িদের সাথে নিজেদের শাশুড়িদের রিলেট করতে পারেন। কয়েকদিন আগে যে শাশুড়ি ছিল শিরোনামে সেটা হল জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের পর্ণার শাশুড়ি। এবার এই শাশুড়ির পাশাপাশি উঠে এল আরও একজনের নাম, আর সেটা হল শিমুলের শাশুড়ি।
পর্ণার দজ্জাল শাশুড়িকেও টেক্কা দিচ্ছে শিমুলের শাশুড়ি। জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সবেমাত্র শুরু হয়েছে একটি নতুন ধারাবাহিক, ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। মানালি দে অভিনীত এই ধারাবাহিক এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। এই ধারাবাহিকের শাশুড়ির জন্যই ধারাবাহিকটি বেশ শিরোনামে। শুধু শিরোনামে নয়, দর্শক মাঝে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। একটা নিয়ে বিতর্ক কাটতে না কাটতেই আরেকটা হাজির।
ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী শিমুলের বিয়ের পর থেকেই তাঁর শাশুড়ি তাঁকে নানারকম খোঁটা দিয়ে যাচ্ছে। স্বামী পরাগের থেকেও দূরে রাখছে শিমুলকে। ফুলশয্যা হতে দেবেনা বলে ফুলশয্যার দিন ছেলে বউয়ের ঘরে তাদের ফুলশয্যার খাটে শরীর খারাপের অছিলায় শুয়ে পড়েন তিনি। আর এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জোরালো বিতর্ক শুরু হয়েছে।
স্বামীকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার পর শিমুলের গয়নার দিকে হাত বাড়াচ্ছে তাঁর শাশুড়ি। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে তত্ত্বের উপহার খোলা হচ্ছে। এখানে রয়েছে একটি হাত ঘড়ি, যেটা শিমুলের বাবা তার জামাইয়ের জন্য রেখে গেছে। কিন্তু পরাগের ভাইয়ের সেটাই পছন্দ। সে সেটাই নেবে। পরাগ বোঝালেও বোঝেনা।
এই ঘটনার পর শিমুলের শাশুড়ি শিমুলকে জানায়, তাঁর সমস্ত গয়না গচ্ছিত থাকবে শাশুড়ির কাছে। এই কথা মুখ বুজে সহ্য করে না শিমুল। ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। সে বলে এগুলো স্ত্রীধন। আর তাই এগুলোতে তাঁর সম্পূর্ণ অধিকার আছে। এই গয়না সে কাউকে দেবে না। এই প্রতিবাদ শুনে শিমুলের শাশুড়ি ফোঁস করে উঠলেও জোর করে স্ত্রীধন কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার হয়না। তবে বৌকে কথা শোনাতে পিছপা হননি তিনি। শিমুলের এহেন প্রতিবাদে দর্শক বেশ খুশিও হয়েছেন।