বর্ষার সন্ধ্যায় মিটল মান-অভিমান, হাসিমুখে ফ্রেমবন্দি যীশু-সৃজিত

টলিউড ইন্ডাস্ট্রির দুজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের নাম হল যীশু সেনগুপ্ত (Jishu Sengupta) এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)। এই দুজন টলিউডে বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু আচমকায় দু’জনের

Saranna

srjit mukherjee jishu sengupta sheared their photo in one frame

টলিউড ইন্ডাস্ট্রির দুজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের নাম হল যীশু সেনগুপ্ত (Jishu Sengupta) এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)। এই দুজন টলিউডে বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু আচমকায় দু’জনের মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ। একে অপরের নাম নিতেও অসহ্য বোধ করছেন। একে অপরের সম্পর্কে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলছেন না। ভিতরে চলছে একটা ঠান্ডা যুদ্ধ। বছরখানেক আগে দুজনের সম্পর্ক ঠিক এমনটাই ছিল। কিন্তু  সম্প্রতি সম্পর্কটা একেবারেই আলাদা। 

শুক্রবার দুপুরে সৃজিত মুখোপাধ্যায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, সৃজিত বাজাচ্ছেন মাউথ অর্গান আর যীশু বাজাচ্ছেন ড্রামস। সৃজিতের সুরে উঠে এসেছে ‘মেরে জীবন সাথী’ সিনেমার ‘চলা যাতা হু’ গানটি। ভিডিওর পোস্টে ক্যাপশনে লিখেছেন ‘জাম-তারা’। এটি ভিডিও করছেন যীশুর স্ত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। তাহলে কি আবার সত্যি সত্যিই মিল হল?

srjit mukherjee jishu sengupta sheared their happy moment togather

সৃজিত এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাদের দুজনের মনোমালিন্য এবং ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। একে অপরের ঘনিষ্ঠতা যেহেতু বেশি, সেহেতু দুজনেই খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। তবে সেসব এখন অতীত। এখন আবারও সেই আগের মতো। অন্যদিকে যীশু জানিয়েছেন, তাদের দুজনের সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর মতো। প্রথমে ঝগড়া হয় খুব, তারপর আবার চুমু খেয়ে ঠিক করে নেন। 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘এক যে ছিল রাজা’ সিনেমায় শেষ কাজ করেন যীশু এবং সৃজিত। তারপর মন দিয়েছিলেন হিন্দি, তামিল, তেলেগুর কাজ নিয়েই। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে ‘দ্য ট্রায়াল’ ওয়েব সিরিজে। এরপর আবারও বাংলাতে দেখা মিলবে অভিনেতার। সৃজিতের দশম অবতারে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। এমটাই জানা গেছে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Srijit Mukherji (@srijitmukherji)


ঝগড়ার অবসানের পরেই রাজি হয়েছেন ছবি করতে। কি জন্য মনোমালিন্য? এ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছিল, ‘লহ গৌরাঙ্গের নামে রে’ নামে একটি সিনেমার কথা ভাবেন সৃজিত। এর আগে যেহেতু চৈতন্যের ভূমিকায় যীশুকে দেখা গিয়েছিল। আর তাই প্রযোজক রানা সরকার এই ছবিতে যিশুকে কাস্ট করার কথা ভাবেন। কিন্তু সৃজিত জানিয়েছিলেন যীশু তাঁর পছন্দের কখনোই ছিল না। এই নিয়েই হয় মনোমালিন্য। 

× close ad