সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন খারাপ দিক আছে, তেমনই রয়েছে ভালো দিক। একটা সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের কত উপকার করে। কারোর মুখের অন্ন তুলে দিচ্ছে, আবার কাউকে রাতারাতি সেলিব্রেটি বানিয়ে দিচ্ছে, আবার কাউকে চরম উচ্চতার শিখরে তুলে দিয়েও, আবার নীচে নামিয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কাছ থেকে সেলিব্রিটি তকমা পাওয়ার থেকেও বড় পাওয়া হল, মুখের অন্ন পাওয়া। কারণ বেঁচে থাকতে গেলে তো প্রয়োজন অন্নের।
সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অংশ হল ইউটিউব (YouTube)। এই ইউটিউব হল এখন প্রায় কিছু মানুষের রুজি রোজগারের জায়গা। এটাই যেন তাদের কর্মক্ষেত্র। যেন নয়, সত্যি সত্যিই এটাই কিছু মানুষের কর্মক্ষেত্র। তবে এই নয় যে এখানে মানুষকে পরিশ্রম করতে হয়না। অব্যশই পরিশ্রম করতে হয়। এখানে কেউ উপার্জন করছেন নিজেদের লাইফস্টাইল দেখিয়ে, কেউ উপার্জন করছেন কোনো জিনিসের ভালো-মন্দের।
ইউটিউবে এমন রান্নার চ্যানেল অনেক রয়েছে। কেউ রান্না করে এতটাই সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন যে, আমাদের বাড়ির মা কাকিমারাও তাদের মতই রান্না করে সকলকে খাওয়ান। এমনই জনপ্রিয় একটি ইউটিউব চ্যানেল হল, “পপি’স কিচেন উইথ ভিলেজ ফুড” (Popi kitchen with village food)। এই ইউটিউব চ্যানেল টা সবার মুখে মুখে ঘোরে, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই চেনে এই চ্যানেলকে।
এখানে দেখা যায়, পপি নামের একটি গ্রামের বধূ গ্রামের তাজা শাকসবজি তুলে এনে, পুকুর থেকে মাছ ধরে দর্শকদের সামনে নানান রকম পদ রান্না করে দেখান। শুধু রান্না নয়, খেয়েও দেখান তিনি । আর তার স্বামী ক্যামেরা ধরে সমস্ত ভিডিওটি করেন। এই তো কয়েক মাস আগে তাঁর রান্না খেতে গিয়েছিলেন ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ খ্যাত লিড অভিনেত্রী দীপান্বিতা (Dipanwita Rakshit)।
এবার এই পথ ধরে এলেন স্টার জলসায় সবেমাত্র শুরু হওয়া ধারাবাহিক “নবাব নন্দিনী”-এর নবাব ও নন্দিনী। অর্থাৎ অভিনেত্রী ইন্দ্রানী পাল (Indrani Paul) এবং রেজওয়ান (Rezwan Rabbani Sheikh)। তাদেরকে পপি রেঁধে খাওয়াবে চিংড়ি দিয়ে কুমড়ো শাকের ঘন্ট আর কাঁচা ইলিশের তেল ঝাল।
ভিডিওর শুরুতেই দেখা গেল অভিনেত্রী বলছেন, সবাই নবাব নন্দিনী দেখেন তো? এবং সকলকে দেখার জন্য আবেদন জানালেন। এরপর দেখা গেল নবাব নন্দিনী পপি কিচেনে গেল, নন্দিনী সেখানে গিয়েই, সবজি কাটতে বসে পড়েছে। এমনকি সে রান্নাও করল কুমড়ো শাকের ঘন্ট। এরপর তারা সবাই মিলে একসাথে কলাপাতায় খেলায়। ভিডিওর শেষে রেজোওয়ান বললেন, সবাই যেন নবাব নন্দিনী দেখেন।
তাহলে কি ধারাবাহিকের প্রোমোশনের জন্য এ এক অন্য পন্থা? আগে তো ধারাবাহিকের প্রচারের জন্য দেখা যেত রিয়েলিটি শোয়ে। এবার দেখা যাচ্ছে পথে-ঘাটে মানুষের সাথে। তাহলে কি যত নতুন ধারাবাহিক টিভির পর্দায় আসবে সবাই কি পপি কিচেনে আসবে প্রোমোশনের জন্য?