জী বাংলার বর্তমান জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির একটি হল ‘জগদ্ধাত্রী’। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি বাকি সিরিয়াল গুলির জন্য বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুরু থেকেই টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করে নিয়েছিল জগদ্ধাত্রী। তবে বর্তমানে তাকেও মাত দিয়েছে স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া। কিন্তু নিজের প্রথম স্থান হারালেও দ্বিতীয় স্থানে এখনও অব্যাহত সিরিয়ালটি।
এখনও পর্যন্ত তালিকায় দ্বিতীয় স্থান থেকে জগদ্ধাত্রীকে কেউ সরাতে পারেনি। সম্প্রতি, এই ধারাবাহিকে চলছে টানটান কিছু পর্ব। উৎসব মুখার্জীকে একপ্রকার যুদ্ধ করে জেলে ভরে জ্যাস অর্থাৎ জগদ্ধাত্রী। যে জগদ্ধাত্রীকে গুলি করে মারার চেষ্টা করেছিল উৎসব। অন্যায়ের নেশায় বুদ্ হয়ে সে ধরেই নিয়েছিল জ্যাস মরে গেছে। তবে তার সেই নেশা কাটিয়ে তোলে খোদ জ্যাস সান্যাল। তাকে ফাটকে পুরে।
তবে নিজের লোকেদের কাছেই হারতে বসেছে জগদ্ধাত্রী। আজ তার ভালোবাসা তাকে সকলের সামনে হারিয়ে দিয়েছে। এতদিন স্বয়ম্ভু চিৎকার করে জগধাত্রীকে জানিয়েছিল সে তাকে ভালোবাসে। তবে আজ যখন জগদ্ধাত্রী স্বয়ম্ভুকে ভালোবাসার কথা বলতে চাইলো তখন রাজনাথ মুখার্জী ও বৈদেহী মুখার্জীর হাতের পুতুলে পরিণত হল স্বয়ম্ভু। ভালোবাসি বলতে চেয়েও বলা হল না জগদ্ধাত্রীর।
উৎসবকে ছাড়াতে স্বয়ম্ভুর সাথে ছলের আশ্রয় নিলো বৈদেহী আর রাজনাথ। বাবা মা, পরিবারের জন্য পাগল স্বয়ম্ভু উৎসবের সাজা হতে দিলোনা। পরিবারে নিজের জায়গাটা পেতে। বাবা আর মায়ের ভালোবাসা পেতে। কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় উৎসব। জগদ্ধাত্রী অবাক হলেও তার কিছুই করার থাকেনা। কারণ, কোর্টে নাকি উৎসবের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমান পেশ করা সম্ভবপর হয়নি।
তবে এই তথ্য কে সরালো তা কিন্তু একটা রহস্যও বটে। কারণ উৎসবকে বাঁচাতে চেয়ে স্বয়ম্ভু মরিয়া থাকলেও সে আদৌ কতটা কি করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ স্বয়ম্ভু যেমন নিজের পরিবারে জায়গা পেতে উৎসবকে ছাড়াতে উদ্ধত ছিল তেমনই টাকার জন্য আর জগদ্ধাত্রীর শত্রু হয়ে তারই ডিপার্টমেন্টের বাগচী তার বিরুদ্ধে এই কাজ করে থাকতে পারে। যাতে সে উপযুক্ত থেকে একজন অযোগ্য অসফল অফিসার হিসাবে সকলের কাছে প্রতিপন্ন হয়। তবে আসল সত্যিটা তো আগামী পর্ব গুলিতে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে।