জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় নতুন নতুন ধারাবাহিকের সম্প্রচার হতে দেখা যাচ্ছে। রাত ৮ টা থেকে শুরু হয়ে, রাত ১০ টা পর্যন্ত চলতে থাকে। পরপর চলে নতুন ধারাবাহিক। এই পরপর চলতে থাকা ধারাবাহিকের মধ্যে একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘সোহাগ জল’ (Sohag Jol)। যার প্রোমো ভিডিওর শুরুটাই হয়েছিল বিচ্ছেদ দিয়ে। আর কাহিনীর শুরুটাও বিচ্ছেদের সুরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ধারাবাহিকের কাহিনীতে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে নায়ক শুভ্র তাদের নিজেদের কোম্পানি থেকে টাকা নেয়, কাউকে না জানিয়ে। আর তাই শুভ্রর জেঠুর ছেলে তাকে পুলিশে দেয়। এই নিয়ে শুভ্রকে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু তার থেকেও বড় চোর যে শুভ্রর দাদা। শুভ্রর এরকম ঘটনার পিছনে যে তার দাদার হাত রয়েছে।
তা আদালতে সবার সামনে প্রকাশ্যে আসে। আর তাই নিয়ে জেঠুমণি জানিয়ে দেয়, বাড়িতে এবার হাঁড়ি আলাদা হবে। কিন্তু বাড়ির প্রায় সকলেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু শুভ্রর বৌদি এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়। জেঠুমণি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসে। আর তাই নিজের শাশুড়িকে খাবার খাওয়ার জন্য জোর করে। এই সময় জুঁই জানিয়ে দেয়, ‘আজ হোটেলের খাবার কেউ খাবে না। বাড়িতে যা রান্না হয়েছে, সেই খাবারই সবাই খাবে’।
কিন্তু শুভ্রর দাদার স্ত্রী তা মানতে রাজি নয়। তাই সে জোর করেই শাশুড়িকে খাওয়াতে যায়। তখনই জুঁই তার হাত আটকে ধরে। জুঁই জানায়, ‘অনেকক্ষণ ধরে তোমার বাড়াডাড়ি দেখছি। কি বলো যেন আমাকে, রাণাঘাট লোকাল তাই তো। আজ এই রাণাঘাট লোকাল খেল দেখাবে। আর তাকে থামানোর ক্ষমতা তোমাদের কারোর নেই’।
এরপর দেখা যায় জুঁই সমস্ত খাবার নিয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়। ফ্রিজে চাবি দিয়ে, নিজের কাছে চাবি রেখে দেয়। সে জানায়, হোটেলের খাবার আজ আর কেউ খাবে না। কিন্তু তাই বলে খাবার নষ্ট হতে দেবে না। তাই পরের দিন সকলে মিলে ব্রেকফাস্টে এই খাবার গুলো খাওয়া হবে। এমনটাই জানায়।