একটা ধারাবাহিকে পজিটিভ চরিত্র যেমন থাকে, তেমনই থাকে নেগেটিভ চরিত্র (Negetive Character)। একটা ধারাবাহিককে সম্পূর্ণ করতে এই দুইয়েরই ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেখা যায় একটা পরিবারে একজন বা একের বেশি নেগেটিভ চরিত্র থাকবেই। যে কিনা নায়ক-নায়িকার পিছনে ষড়যন্ত্র করে বেড়াবে। তাদের সম্পর্ককে ঠিক থাকতে দেবেনা, সবসময় কূটকাচালি করে যাবে। এই হল ধারাবাহিকের খল চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।
আগেকার দিনের ধারাবাহিক (Serial) বা সিনেমার দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যাবে, পরিবারের ভিলেন হত শাশুড়িরা, তারা ছেলের বউ কে মেনে নিত না। ফলে সেই হতো ভিলেন। এই যেমন আগের ধারাবাহিকের একটা উদাহরণ দিই, যেমন ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকে কিন্তু ছেলের মা ভিলেন ছিল, গ্রামের মেয়ে মৌরি বলে তাঁকে মেনে নেয়নি। এবং পরিবারের সবকিছুই পরিচালনা হত সেই মায়ের কথাতেই। এরকম আরও অনেক ধারাবাহিক রয়েছে।
তবে এখন দেখা যাচ্ছে , শাশুড়ি নয়, বাড়ির বৌমাই হচ্ছেন ভিলেন। ফলে বাড়ির বৌমার কথাতেই বাড়ির সবকিছু পর্যালোচনা হয়। বর্তমানের ধারাবাহিক গুলো দেখলেই সেটা চোখে পড়ে। এই যেমন ‘নবাব নন্দিনী’ ধারাবাহিকে বাড়ির বউ ই খলনায়িকা। বাড়ির বড় বউ কমলিকার কথাতেই বাড়ির সবাই চলে, বাড়ির সবকিছু যেন সেই চালনা করে চলেছে।
আর এই কমলিকা ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা অর্থাৎ নবাব আর নন্দিনীকে অপদস্থ করে বেড়াচ্ছে। এরকমই আরও একটি ধারাবাহিক চোখে পড়ল। সম্প্রতি শুরু হয়েছে, স্টার জলসার পর্দায় ‘হরগৌরী পাইস হটেল’ সেখানেও বাড়ির বড় বউ মিতালীর কথায় সব কিছু হয়।
বাড়ির যেকোনো কিছু সবটাই মিতালীর কথাতেই হয়, এমনকি হোটেলের ব্যবসার পরামর্শ সবটাই শংকর নেন বড় বৌদির কাছ থেকে। এই ধারাবাহিকে মিতালীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সুরভী মল্লিক। তার চরিত্র নেগেটিভ। তাঁর কথাতেই বাড়ির সবকিছু হয়।
এই মিতালীর সাথে কিছুটা মিল রয়েছে নবাব নন্দিনীর কমলিকার। এবার দেখার পালা ধারাবাহিকের নায়িকা অর্থাৎ শংকরের বৌকে মিতালী অপদস্থ করতে পারে কি না। নাকি নন্দিনীর মতোই ঐশানিও টাইট দেবে তার বড়ো জা কে। প্রসঙ্গত, এই নতুন ধারাবাহিক শুরুর পর থেকেই দর্শকের মন কেড়েছে। দর্শক বেশ পছন্দ করছেন এই নতুন ধারাবাহিকটি।