কেরিয়ারের প্রথমে পা দিয়েই কেউ সফল হয়না। সফল হতে সময় লাগে। অনেক চরাই উতরাই পেরিয়ে একজন অভিনেত্রী জনপ্রিয় হয় দর্শকদের কাছে। প্রথমদিকে কেউই সুযোগ পাননা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের, প্রথম দিকে কেউ পান পার্শ্ব চরিত্রে আবার কেউ পান একেবারে ক্ষুদ্র চরিত্রে। এইসব ছোটো খাটো চরিত্রে অভিনয় করতে করতে একদিন পেয়ে যায় বড় চরিত্রে। আজ দেখে নেওয়া যাক বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) সেইসব অভিনেত্রীদের, যাদের শুরুটা নেগেটিভ দিয়ে হয়েছে, আর তারপর এসেছে মুখ্য ভূমিকায়।
সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu) : আমাদের সকলের প্রিয় ‘মিঠাই’ (Mithai)। এর আগে সৌমিতৃষা অনেক ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও, সকলের মন কেড়েছে তাঁর এই মিঠাই ধারাবাহিক। কেরিয়ারের সাফল্যতম চরিত্র। সৌমিতৃষার শুরুটা কিন্তু হয়েছিল নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। ‘এ আমার গুরুদক্ষিণা’ ধারাবাহিকে নেগেটিভ চরিত্রের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর একে একে অনেক ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।
দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় (Debchandrima Singha Roy) : যাকে দেখা গিয়েছিল ‘সাহেবের চিঠি’ (Saheber Chithi)তে। যদিও এর আগে সে জনপ্রিয় হয়েছিল, স্টার জলসার ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। দেবচন্দ্রিমার শুরুটা কিন্তু নেগেটিভ চরিত্রের মাধ্যমে হয়েছিল, কালার্স বাংলার ধারাবাহিক “কাজল লতা” তে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল অভিনয় যাত্রা।
দীপান্বিতা রক্ষিত (Dipanwita Rakshit) : সকলের জনপ্রিয় খুকুমণি। এই অভিনেত্রী ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ (Khukumoni Home Delivary) ধারাবাহিকে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। এই ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা গিয়েছিল মুখ্য ভূমিকায়। যদিও অভিনেত্রীর শুরুটা হয়েছিল ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকের চুমকি চরিত্রের মাধ্যমে। এই চরিত্রটি নেগেটিভ ছিল। নেগেটিভের পর তিনি অভিনয় করেন পজিটিভ চরিত্রে। একেবারে মুখ্য ভূমিকায়। এই ভূমিকায় অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় দর্শকমহলে।
ইধিকা পাল (Idhika Paul) : টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইধিকা পাল। যার শেষ ধারাবাহিক ‘পিলু’ (Pilu)। প্রথমদিকে পিলু ধারাবাহিকে অভিনেত্রীর চরিত্র নেগেটিভ হলেও, পরে পজিটিভ হয়। ইধিকার শুরুটা হয়েছিল, ‘কপালকুণ্ডলা’ দিয়ে। এই ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্র ছিল নেগেটিভ। এরপর অভিনেত্রী সুযোগ পান ‘রিমলি’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে। এই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকমহলে প্রশংসা পেয়েছে।