Titiksha Das : জি বাংলার (Zee Bangla) যে ধারাবাহিকটি বর্তমানে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে সেই ধারাবাহিকটি হল ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। এই ধারাবাহিকের তিনটি চরিত্র মুখ্য। মেঘ, ময়ূরী আর নীল। মেঘের চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন তিনি হলেন তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das)। তাঁর অভিনয় দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলেছে। ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাঁর পাশে রয়েছে বন্ধুরা, কিন্তু পাশে নেই নিজের মা। বাস্তব জীবনে ঠিক সেটার উল্টো পরিবার পাশে থাকলেও নেই কোনো বন্ধু।
বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে সব ভুলে নতুন ভাবে নিজের জীবন শুরু করতে চাইছে মেঘ, কিন্তু অতীত কিছুতেই তাঁর পিছু ছাড়ছে না। কোনো না কোনো ভাবে তাঁর জীবনে পড়ছে নীলের ছায়া। সে নীলকে পাত্তা দিতে চাইছে না, তা সত্ত্বেও তাঁর কাছে আসছে নীল। মেঘ অতীত থেকে পালাতে চাইলেও পালাতে পারছে না। অতীত নিয়েই বাঁচতে হচ্ছে। এই মেঘের সাথে বাস্তবের তিতিক্ষার কী মিল আছে?
তিনি জানান একদম মিল নেই, কারণ তিতিক্ষা কখনোই অতীত নিয়ে চলতে পারেননা, সে ভীষণ স্পষ্টবাদী। আর তার জন্যই বাস্তবে বন্ধুর সংখ্যা কম। সবার কাছে সো কলড গুড গার্ল নন। আর তিনি হতেও চাননা। মেঘের মত চেপে থাকতে পারেননা, যাকে যেটা বলার সেটা স্পষ্টভাবে বলেই ফেলেন। আর এর কারণে যদি কেউ থাকার হয় থাকবে আর নাহলে সে চলে যাবে।
তাঁর কথায়, ‘সব ক্ষেত্রেই নেগেটিভিটিটা দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। যদি কোনো টক্সিক ফ্যামিলি মেম্বার থাকে, তুমি যেমন ভাবে বাঁচতে চাইছ তোমাকে বাঁচতে দিচ্ছেনা, এটা কোরোনা ওটা কোরোনা বলছে। আমি বলব তাদের মন্তব্য নেবেনা। জানিনা তুমি নিজের টা খাও না বাবার টা খাও, যার টা খাও তাকেই পাত্তা দেবে। আর কারোর টা নয়’।
তিতিক্ষা স্পষ্টবাদী হলেও মুখের উপর ‘না’ বলতে পারেননা। কেউ যদি কোনো কাজ করতে বলে, তিনি করে দেবেন, বুঝতে পারছেন নিজের অস্বস্তি হচ্ছে কাজটা করলে , তা সত্ত্বেও তিনি না বলতে পারেননা। বয়স মাত্র ২০ তাতেই তিনি এত ম্যাচিউর। ভবিষ্যত জীবনে এগোনোর জন্য যেরকম বাঁধা আসুক না কেন, সবটা যে একা হাতেই সামলাতে পারবে তা বোঝা গেল তিতিক্ষার কথা শুনে।