জী বাংলার (Zee Bangla) একটি সাম্প্রতিক সিরিয়াল ‘মন দিতে চাই’ (Mon Dite Chai)। এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী অরুনিমা হালদার ও অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জী। তিতির ও সোমরাজের ভালোবাসার গল্প। তবে শুরুতে তারা আর পাঁচটা সিরিয়ালের মতোই একে অপরের শত্রুর মত। সোমরাজ মেয়েদের উন্নতি মেনে নিতে পারেনা। সেকেলে চিন্তাধারা বহন করে চলে সে। তার কথা মত মেয়েরা সবসময় ছেলেদের থেকে নিচে থাকবে।
কিন্তু অন্যদিকে তিতির নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। তার পরিবারে তারা চার বোন। তিতির মেজো বোন। সে বাবাকে সাহায্য করতে কাজ করে। হাসিখুশি মধ্যবিত্ত পরিবার তাদের। সম্প্রতি, ধারাবাহিকটি শুরুর পর থেকেই বার কয়েক তিতির ও সোমরাজ মুখোমুখি হয়েছে। আর ততবারই সোমরাজ তার সেকেলে মানসিকতা থেকে তিতিরকে অপমান করে গেছে। আর তিতির তাকে করেছে সাহায্য।
সোমরাজও অবশ্য তিতিরকে সাহায্য করেছে। তিতিরের মাসির ছেলের সাথে সোমরাজের এক বোনের বিয়ে হচ্ছে। আবার মুখোমুখি হয় তিতির আর সোমরাজ। বোনের বিয়ে হলেও সোমরাজের চিন্তাধারার কোনো পরিবর্তন এখানে দেখা যায়নি। প্রথমে তিতির যখন বিয়ে বাড়িতে ঢুকছিল তখন ভুল করে তার এক ওয়েটারের সাথে ধাক্কা লেগে যায় আর ড্রিংকস পরে যায় সোমরাজের মায়ের গায়ে।
কোনো কিছু না দেখে শুনেই তিনি তিতিরকে সকলের সামনে চড় মেরে বসেন। আর তাতেও মন ভরেনা তাদের। বিয়েবাড়িতে আসার পথে তিতির বিপদে পড়লে তাকে বাঁচিয়েছিল সোমরাজ আর তাই ভুল করে দুজনের ফোন বদলে যায়। তিতির প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারে কিন্তু ততক্ষনে সম্রাজ্যের বাড়ির লোক তাকে চোর সাবস্থ্য করে ফেলে।
দাদার বিয়ের গাঁটছড়া বাঁধতে গিয়ে যখন কারেন্ট অফ হয়ে যায় তখন এক মহিলা ভুল করে তিতির আর সোমরাগের গাঁটছড়া বেঁধে দেয় বিয়ের দম্পতির সাথে। আর বিয়ে মাঝপথে যাতে বন্ধ না হয়ে যায় তাই তিতির আর সোমরাজও সেই গাঁটছড়ায় বাঁধা পরে সাতপাঁক ঘুরতে শুরু করে। শেষে আবার সোমরাজের মা তার যথা সাধ্য চেষ্টা করেন তাদেরকে মণ্ডপ থেকে টেনে এনে গাঁটছড়া খুলে দেওয়ার কিন্তু ব্যর্থ হন। এবার কিভাবে এই জুটির গাঁটছড়া বাঁধা হয় তাই দেখার।