জয় মা ভবতারিণী! দক্ষিনেশ্বর মন্দিরের ১৬৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে, রইল মন্দিরের অজানা ইতিহাস

দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির (Dakshineswar Kali Temple)। মা ভাবতারিনীর আলয়। গঙ্গার তীরবর্তী সুবিশাল জায়গা জোড়া এই মন্দিরে মায়ের দর্শন হেতু  ভিড় জমান প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ।

Desk

today 167th year establish day of dakshineswar kali temple

দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির (Dakshineswar Kali Temple)। মা ভাবতারিনীর আলয়। গঙ্গার তীরবর্তী সুবিশাল জায়গা জোড়া এই মন্দিরে মায়ের দর্শন হেতু  ভিড় জমান প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ। মায়ের আশীর্বাদে মনের আশা পূরণ করতে ছুটে আসেন সকলে। দক্ষিনেশ্বর মন্দির নিজের সাথে যুগ যুগ ধরে বহন করে চলেছে এক বিশাল পরিবর্তনের ইতিহাস। এক নব সূচনার ইতিহাস। আজ সেই ইতিহাস আরেকটা বছর পূর্ণ করল। আজ অর্থাৎ ৩১ শে মে এই মন্দিরের ১৬৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস।

দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দিরের ইতিহাস : (History of Dakshineswar Kali Temple)

এই মন্দির একসময় মহিয়সী নারী রানী রাসমণির হাত ধরে গড়ে উঠেছিল।মা ভাবতারিনীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে গঙ্গা তীরবর্তী সুবিশাল জায়গা জুড়ে রানীমা গড়ে তোলেন এই দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির (Dakshineswar Kali Temple)। তার হাত ধরেই শুরু হয় এক নতুন ইতিহাস রচনা। তখনকার দিনে দাঁড়িয়ে স্বামীহীনা এক বিধবা রমণীর এমন দুঃসাহসিক গল্প আজও সকলকে প্রেরণা দেয়। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময় ১৮৫৫ সালে নবরত্ন শৈলীতে নির্মিত এই দক্ষিনেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রানী রাসমণি।

today 167th year establish day of dakshineswar kali temple

 

অনেক বাধা-বিপত্তি, ঝড় সামলে তিনি এই মন্দির স্থাপন করে। মন্দিরের বিগ্রহ তৈরী করা হয় পাথরের। প্রায় ৩০,০০০ একর জমির উপর মন্দিরটি নির্মিত। তখনকার সময়ে খরচ হয়েছিল আনুমানিক ৯ লক্ষ টাকা। যে টাকার অংকের পরিমান সেই সময় ছিল বিপুল। রানী রাসমণি কর্তৃক নির্মিত এই মন্দিরের নাম পরবর্তীকালে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ও মা সরদার কারণে চারিদিকে বেশি করে ছড়িয়ে পরে।

আরও পড়ুনঃ ‘মহারাজার ৫০/৫০’! এবারে পুজোয় সৌরভ সজ্জায় সাজতে চলেছে বড়িশা প্লেয়ার্স ক্লাব দেখে নিন

তথ্য অনুযায়ী, ১৮৪৭ সালে রানীমা তীর্থ যাত্রায় যাবার জন্য মনস্থির করেন। কাশি ধামে যাত্রার আয়োজন করেছিলেন তিনি। কিন্তু যাত্রার এক দিন পূর্বেই মা ভবতারিণী রানী রাসমনিকে স্বপ্নাদেশ দেন। আর মা ভবতারিণী স্বপ্নাদেশ অনুসারে রানীমা তার কাশি যাত্রা রধ করেন ও গঙ্গার তীরবর্তী জমি কিনে সেখানে মা ভাবতারিনীর মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন। স্বপ্নাদেশ পাওয়ার প্রায় আট বছর পর এই মন্দির নির্মাণ কার্য সম্পন্ন হয়। ১৮৫৫ সালে পূর্ণ স্নান যাত্রার ক্ষনে মা ভাবতারিনীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় মন্দিরের গর্ভে।

Related Post