সম্প্রতি, জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক ‘মুকুট’ (Mukut) এর এক অভিনেতা যুধাজিৎ ব্যানার্জীর (Judhajit Banerjee) মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছে নেটপাড়ায়। হঠাৎ করেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকুট ধারাবাহিক থেকে নিজের সরে আসার খবর প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি ব্লুজ প্রোডাক্শনের কর্ণধার স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর নাম না করেই উক্তি করেন। তিনি ‘শিল্পীর মানহানি করে শিল্পের সম্মানের অভিনয়টা সহ্য করতে পারেননি’। তাই তিনি সরে আসেন এই ধারাবাহিক থেকে।
শুধু এই ধারাবাহিক থেকেই নয়, তিনি ব্লুজের আরও একটি ধারাবাহিক ‘নায়িকা নং ১’এ ছিলেন। সেখান থেকেও বেরিয়ে আসেন তিনি। আর আরও জানান যে, তিনি জুলাই মাসেই আবার নতুন কাজে ফিরবেন। এছাড়াও তিনি এক সাক্ষাতকার মাধ্যমে আরও অনেক কথাই বলেছেন। যা শুনে মেনে নিতে পারেননি অনেক কলাকূশলীই। ব্লুজের হাত ধরে অনেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন। অনেকও কাজ দর্শককে উপহার দিয়েছেন স্নেহাশিষ চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty)।
পাশাপাশি অনেক শিল্পীকে কাজও দিয়েছেন তিনি। তাই অভিনেতা যুধাজিৎ এমন কিছু মন্তব্য করলে তা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তারা প্রত্যেকেই তাদের মত করে অভিনেতার কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অভিনেতা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ছোবলটা খাবার জন্য অপেক্ষা করে থাকবো, তারপর আমি কাউকে ছোবল দেব, ছোবল খেয়েও নিচু করে থাকব এটা কিভাবে হয়, আমি তো মহাত্মা গান্ধী নই যে এক গালে চড় খেয়ে আরেক গালে চড় খাবো বলে বসে থাকবো।
তিনি আরো বললেন “অমুকের বেশি ফলোয়ার, অমুক ওখানে বেশি ফেমাস, একটা ব্লু টিক আছে। ওকে কাজে নাও। এখন বিষয়টা অনেকটাই এরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি চাই শিল্পী তার শিল্পের যথাযথ মর্যাদা পাক…কাজ নিয়ে সব সময় খুব ভয় ভয় থাকতাম, কখনো মনে হতো এটা করে ফেললাম এবার কি হবে। এইরকম ভয়ের সাথে কাজ হয় না। কিছুদিন হলো আমার বাবা মারা গিয়েছে। তিনি সবসময় আমাকে শিখিয়েছেন শিরদাঁড়া যার সোজা করতে। এখানে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না তাই বেরিয়ে আসা।”
আর এই কথা গুলির পরিপ্রেক্ষিতে মুকুট অভিনেত্রী শ্রাবনী ভুঁইয়া সহ অনেকেই নিজেদের মতন প্রতিবাদী ভাষায় জবাব দিয়েছেন। অভিনেত্রী শ্রাবনী লেখেন, ব্লুজ-এ প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সম্মানের সঙ্গে বিনা ভয়ে কাজ করে। শুধু শিল্পী নয়, প্রত্যেক টেকনিশিয়ানকেও আলাদা সম্মান দেওয়া হয়। ভীষণ ঘরোয়া পরিবেশে কাজ হয়। এমনকী আমরা দেখেছি কেউ কারও সমস্যার কথা বলে যদি কাজ চান, উনি দেন। ট্র্যাকের প্রয়োজনে যদি সেই সিরিয়ালে ডেট না পড়ে, উনি অন্য কোথাও ব্যবস্থা করে দেন। যে বা যারা এই মন্দিরের মতো সংস্থা নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে তাদেরই নোংরা মানসিকতা প্রকাশ পাচ্ছে।