‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’॥ সত্যি তাই জীবনে আমাদের দুঃখ আছে, মৃত্যু আছে, বিরহ আছে, তাও আমাদের শান্তি, আনন্দ এসবের অনুভূতি হয়। আসলে জন্মালে তো মরিতেই হবে, এই কঠিন সত্যকে মেনে নিয়ে যে জীবন যাপন করবে, তার জীবনে শান্তি আনন্দ এসব বিপুল পরিমাণে থাকবে। কিন্তু যার থাকবে না, সেই শোকে পরিপূর্ণ হবে।
কিন্তু যারা অকালে চলে যায়, যাদের এখন চলে যাওয়ার সময় নয়, তারা যদি চলে যায় বিরহটাতো গভীর শোকেই পরিণত হয়। আমরা তো স্বপ্নেও ভাবতে পারি না সময়ের আগেই এমন অকালে কেউ চলে যাবে। ভাবলেও বুকের ভিতরটা যেন শুন্য হয়ে যায়। সম্প্রতি এমনই এক মানুষ সময়ের পূর্বেই চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। তিনি হলেন, অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায় (Ananya Chatterjee)। মৃত্যু তাকে কেড়ে নিলেও তার মৃত্যুটা সত্যিই বেদনাদায়ক। নিয়তি হলেও যেন মেনে নেওয়া যায়না।
ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ার কারণে তিনি দক্ষিণ কলকাতার আইরিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হলনা। সকাল ৫.২৫ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। শুক্রবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই টলি ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
তিনি বড় পর্দা এবং ছোটো পর্দা সবেতেই অভিনয় করেছেন। বর্তমানে তিনি মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করতেন। খুব ছোটো বয়সে চারমূর্তি ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন, শুরু হয় অভিনয় যাত্রা। এরপর ২০০৪ সালে ‘পরবর্তী সংবাদ দুপুর দুটোর সময়ে’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। যা সেরার সেরা টেলিফ্লিমের পুরস্কার পায়।
সম্প্রতি তিনি ‘সোনা রোদের গান’ এবং ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ওপারে ভালো থেকো অনন্যাদি। অভিনেত্রী শ্রুতি দাস লেখেন, ‘ভাল মানুষ বেশিদিন থাকে না এই দুনিয়ায় আবারও তুমি প্রমাণ করে দিলে অনন্যা আন্টি’।
অভিনেত্রী আরও বলেন ‘তোমার সাজেশন মাথায় রেখে লড়াই করে যাব। ওপারে ভাল থাকা যায় কিনা না গেলে জানতে পারব না। তবে মনটা খারাপ ভীষণ… দেখা হয়নি কখনও, জানি না আর দেখা হয় কিনা……।’