Viral : সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) নন্দিনীদিকে সকলেই চেনে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই রিলসে দেখা যায় নন্দিনীদির খাবারের দোকান, নন্দিনীদির ভাইরাল কথাবার্তা। কলকাতায় অনেক মহিলাই স্ট্রিট ফুডের দোকান দিয়েছে, কিন্তু ভাইরাল হচ্ছে সেই নন্দিনীই (Nandini Didi)। সূদুর বাংলাদেশ থেকে এসে কলকাতার ডালহৌসিতে পসার বসিয়েছে। সবাই তার এই কান্ড কারখানা দেখে বলেছে অহংকারই মানুষের পতনের মূল।
যেমন ভাইরাল তেমনই খাবারের দাম। ২২০ টাকায় পাওয়া যায় মাটন থালি। কিন্তু আর এক জায়গায় চাঁদপাড়া স্টেশনে রয়েছে দুই বোনের হোটেল। সেখানে মাটন থালির দাম ৮০ টাকা। ৮০ টাকার মাটন থালিতে রয়েছে, ডাল, ভাত, উচ্ছে আলু ভাজা, লাল লাল মাটনের ঝোল, আলু পেপের তরকারি আর লেবু। কলাপাতার প্লেটে সার্ভ করা হচ্ছে।
এটা কী করে সম্ভব। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কয়েকজন মানুষ গিয়েছিলেন ৮০ টাকার মাটন থালির দোকানে। তারা প্রথমেই জানায়, নন্দিনীদিকে তারা চেনেন না। কেন এই বেশি দাম। এর কারণ হিসেবে হোটেলের দিদি জানিয়েছেন, ‘ আমরা ৮০ টাকায় পেরে উঠছি, আর নন্দিনীদি ভাইরাল বলেই ২২০ টাকায় মাটন ভাত দিচ্ছে’।
৮০ টাকায় মাটন ভাত দিয়ে কি লাভ হয়? তিনি জানান ‘যা লাভ হয় আমাদের চলে যায়। এটা আমার দিদির হোটেল। টাকা পয়সার দিকটা আমি অতটা দেখিনা দিদি বলে যখন যা দিবি দিয়ে দিবি, লাভ রাখবিনা।’ তাহলে কীভাবে সম্ভব? তিনি জানান, ‘নন্দিনীদিও মাটন কিনছে, আমরাও দেশী মাটন কিনি। ফ্রেশ মাংস, কিনি। ও যে কীভাবে দেয় তা আমি জানিনা’। তবে নন্দিনীদিকে স্বাগত জানিয়েছেন এই দুই বোনের হোটেল।
এরপর তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, নন্দিনীদি ভাইরাল বলে ছক্কা হাকাচ্ছে, আপনিও যদি ভাইরাল হন তাহলে আপনিও ছক্কা মারবেন? উত্তরে তিনি জানান না। আমাদেরকে মারলে, আমাদেরকে এখানে মারার লোক আছে। উপরে যে ঠিক আছে, সেই মেরে দেবে আমাকে। অনেকেই এই ভিডিও দেখে বলছেন, ‘রান্না দেখে মনে হচ্ছে একেবারে ঘরোয়া রান্না, সুযোগ পেলে অবশ্যই খেতে যাবো।’ আর একজন জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই আসবো খুব ভালো লাগলো। রান্না দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাদ হবে।’