দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আপাতভাবে অনেকটা এগিয়ে গেলেও সামাজিক চিন্তাধারার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। তবে আগের তুলনায় মানুষ অনেকটাই আধুনিক চিন্তাভাবনা করতে শিখেছেন। পরিবর্তনশীল ভাবনাচিন্তা সমাজের কিছু প্রাচীন নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে করেছে চুরমার। আর তাদের মধ্যে দিয়েই সমাজ এগিয়ে চলেছে এক নতুন সূর্যোদয়ের আশায়। শিক্ষা নারীদের (Girl Education) জন্য নয়। এই কথার প্রতিবাদে লড়াই চলে আসছে বহু যুগ ধরে।
তবে আধুনিক সমাজে নারীরা নেই পিছিয়ে। অনেক লড়াই করে তারা নিজেদের জায়গা করে নিতে পেরেছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে। আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা পেয়েছে অগ্রাধিকার। সকল ক্ষেত্রে নারীর আসন সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। সমাজে সুশিক্ষিত, সুপ্রতিষ্ঠিত নারীর প্রমান আজ আমাদের চারিপাশে। সম্প্রতি, উত্তর প্রদেশ শিক্ষাপর্ষদের (UP Board) আন্তঃবিদ্যালয় পরীক্ষার ফলাফল (Intermediate Exam Results) প্রকাশ হয়েছে।
কৃষক কন্যা দৃষ্টি (Farmer’s Girl Drishti)
আর সেই পরীক্ষায় জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে এক ছাত্রী দৃষ্টি (Drishti)। দৃষ্টির পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৮৯.৮০ শতাংশ। দৃষ্টি আমরোহা জেলার ভারতমাতা ইন্টার স্কুলের ছাত্রী। এক কৃষক পরিবারের মেয়ে সে। আর্থিক অনটন থাকলেও দৃষ্টির বাবা-মা কখনও তার পড়াশুনায় কোনো খামতি আসতে দেননি। তাদের বক্তব্য, তারা কখনো পড়াশুনার সুযোগ পাননি বলে মেয়েকেও সে সুযোগ দেবেননা এমনটা ভাবেননি। বরং মেয়ে আগামীর লক্ষ্যে এক উজ্বল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাক এমনটাই চেয়েছেন তারা।
উত্তর প্রদেশ আন্তঃবিদ্যালয় পরীক্ষায় এবারে আমরোহা জেলার ভারতমাতা ইন্টার স্কুলই সবচেয়ে এগিয়ে। তারাও দৃষ্টির মতো একজন ছাত্রী পেয়ে খুব আনন্দিত। দৃষ্টির ইচ্ছা সে বড়ো হয়ে একজন আইপিএস অফিসার (IPS Officer) হবে। তার স্বপ্ন যাতে পূরণ হয় সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে সে। হয়তো আগামীতে সে নিজের স্বপ্ন পূরণে সফল হয়ে উঠবে। গ্রামের দারিদ্র পরিবারের মেয়ে দৃষ্টি নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বদলে দেবে আর্থিক দুর্দশা।