বাংলার সেরা ধারাবাহিক ‘মিঠাই’ (Mithai)। এই ধারাবাহিককে মানুষ এতটা ভালোবেসেছে যে, রাত আটটা বাজলেই যে যেখানে থাকুক টিভির সামনে উপস্থিত থাকবেই। এতটাই সকলের কাছের হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকের চরিত্র থেকে কাহিনী, প্রথম থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। আর প্রথম থেকেই টিআরপি তালিকায় নিজেদের স্থান একেবারে আটকে রেখেছে। মাঝে টিআরপির পারদ কিছুটা নেমেছিল, টানা ৫৪ সপ্তাহ ধরে একই স্থানে রয়েছে এই ধারাবাহিক।
তবে এই সপ্তাহে মিঠাইকে টেক্কা দিয়েছে গৌরী এলো। তবে মিঠাই ঠিক আবার নিজের জায়গা ফিরে পাবে দর্শকদের সেই বিশ্বাস আছে। আর বিশেষ করে এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয় জুটি মিঠাই আর সিড, ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনের এতটাই কাছের হয়ে গেছে যে, তাদের ছাড়া ভাবাই যায়না। এমনকি তরুণ প্রজন্ম তো তাদের এই জুটিকে বেশ পছন্দ করে, মিঠাই সিডের ছোটো ছোটো রোমান্টিক ক্লিপ সবসময় তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভাইরাল হয়।
ধারাবাহিকে দেখা যায়, পরিবারের সকলের সাথে সকলের একটা মিষ্টি বন্ডিং, আর এর জন্যই বোধহয় মানুষ এত ভালোবাসে এই ধারাবাহিককে। তবে শুধু অন স্ক্রিনে বন্ডিং রয়েছে, তা কিন্তু নয়, অফ স্ক্রিনের রয়েছে একে অপরের সাথে বেশ ভালো বন্ডিং। মজা, খুনসুটি, একসাথে খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি। এই তো সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল, মোদক পরিবারের পুরুষ সদস্যরা অফ স্ক্রিন এক ফ্রেমে।
আমরা টেলিভিশনের পর্দায় দেখি, দাদাই আর সিদ্ধার্থের মিষ্টি মধুর সম্পর্ক। তবে এই যে তার দাদাই এর উপর একটা ইমোশন কাজ করে, সেটা কিন্তু সিদ্ধার্থের অন্তর থেকেই এটা কোনো অভিনয় নয়, আদৃত রায় (Adrit Roy) ভীষণ ইমোশনাল। এবং পরিবারকে খুব ভালোবাসেন। সম্প্রতি এই তথ্য ফাঁস করলেন দাদাই।
দাদাই জানান, ‘একবার এক দৃশ্যে দেখানো হচ্ছে, আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, মৃত্যুশয্যায় কাতর। ও তখন আমায় দাদাই দাদাই করতে করতে এতটাই ইমোশনাল হয়ে গেল, ও কেঁদে ফেলেছিল, তখন আদৃতের দাদাই এর কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। তখন ডিরেক্টর বলছেন, এরকম ভাবে কাঁদলে পাঠ করবে কি করে?
আরও পড়ুনঃ অবশেষে দর্শকের কথা রাখতে মিঠাইতে ফিরতে চলেছে সোমদা! মল্লার পর্ব মিটল তবে? দোটানায় দর্শক
View this post on Instagram
আসলে পর্দার রাগী ছেলেটা যেমন পরিবারের জন্য দাদাইয়ের জন্য সব কিছু হাসি মুখে করতে পারে তেমনই বাস্তবেও অভিনেতা নিজের পরিবারকে ভীষণ ভালোবাসেন। আর মিঠাইয়ের দাদাইয়ের এই কথা থেকে বেশ স্পষ্ট যে অভিনেতা বাস্তবেও তার দাদাই অর্থাৎ দাদুর সাথে বিশেষ ভাবে জুড়েও আছেন।