জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। এই ধারাবাহিকটি যখন শুরু হয়, তখন ধারাবাহিকের কাহিনী ছিল পারিবারিক। একটা সংসারে নতুন বউ এলে তাঁর পরিস্থিতি কেমন হয়? তা নিয়েই মূলত কাহিনীর ধারাবাহিকতা। এই ধারাবাহিকতা বইতে বইতে এখন ধারাবাহিকের কাহিনী মোর নিয়েছে অন্য জায়গায়।
ধারাবাহিকের মূল চরিত্র পর্ণা এখন সাংবাদিক। আর এই সাংবাদিকতার সূত্রে, সে অনেক খারাপ কাজের বিনাশ করে। তাঁর পরিবারের মধ্যেই ঘটে যাওয়া ঘটনার উন্মোচন করেন। এককথায় বলা চলে পর্ণা যেন এখন পুলিশের ইনফর্মার। এই কয়েকদিন আগেই দত্ত বাড়ির ছোটো ছেলে অর্থাৎ ছোটকাকে জেল থেকে বের করে আনার জন্য যথাযোগ্য প্রমাণ এনে হাজির করে।
এবারও আবার পর্ণা রহস্যের উদঘাটন করতে তৎপর হয়েছে। যারা ধারাবাহিক দেখেন তারা জানেনই, নীলাঞ্জনাকে খুঁজতে গিয়ে দত্ত বাড়ির ছোটো ছেলে অনিমেষের দূর্ঘটনা ঘটে। আর এর জন্য সকলেই নীলাঞ্জনাকে দায়ী করে। কুসংস্কারে বশীভূত হয়ে সৃজনের মা নীলাঞ্জনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছিল। আর তখনই নীলাঞ্জনার পাশে এসে দাঁড়ায় পর্ণা। একদিকে যেমন নীলাঞ্জনা কোনো মর্যাদা পায়না।
অন্যদিকে অনিমেষও কোনো মর্যাদা পায়নি। কারণ তার রোজগার কম। আর তাই তাকে একটা সরকারি হাসপাতালে ফেলে রেখে দেয়। অনিমেষ এবং নীলাঞ্জনার পাশে কেউ নেই। এই পরিস্থিতিতে পর্ণা সৃজন তার পাশে দাঁড়ায়। পর্ণা লোন নিয়ে ছোটকাকে ভালো হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হসপিটালের রিসেপশনে তাদের জানানো হয়, ১০ লক্ষ টাকার কথা।
এছাড়াও অনেক দেরি করে ফেলেছে যেহেতু সেজন্য এক্সট্রা ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। এই ঘটনায় অবাক হয়ে যায় সৃজন পর্ণা। পর্ণা ভাবতে থাকে, নিশ্চয়ই এখানে কোনো অন্য কারসাজি আছে। এত টাকা বিল কি করে হতে পারে। আর এর ভিতরে কি কারসাজি আছে, তা জানতে পর্ণা উদ্যত হয়ে উঠেছে। আগামী পর্বে আসতে চলেছে অনেক চমক, দেখতে থাকুন নিম ফুলের মধু।