Travel Destination : ভ্রমণপ্রিয় (Travel) বাঙালী সকলেই। সকলের মনেই থাকে ঘোরার একটা সুপ্ত ইচ্ছা। কিন্তু এই সুপ্ত ইচ্ছা পূরণ করার জন্য দরকার ছুটি। একটু ছুটি পেলেই মন টানে ঘুরতে যাওয়ার দিকে। সামনেই রয়েছে দোল এবং হোলি। এই উৎসবের জন্য তো ছুটি রয়েছেই। আর এই ছুটির মরসুমে ঘুরে আসুন (Travel Destination) কাছেপিঠে। কোথায় ঘুরতে যাবেন? রইল বিস্তারিত।
ছাতনা রাজবাড়ী : বাঁকুড়া জেলার পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত এই ছাতনা রাজবাড়ী। এই রাজবাড়ী জড়িত রয়েছে বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে। এই বাড়ির কুল দেবতা বাসলী। আর এই বাসলী দেবীর পুরোহিত ছিলেন বুড়ু চন্ডীদাস। যিনি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচনা করেছিলেন। এই রাজবাড়ীতে গেলে একটা শান্তি অনুভব করবেন। একেবারে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ আপনাকে আলাদই শান্তি দেবে। এই ‘বাসুলী দেবী’ মা দুর্গার আর এক রূপ।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেন ধরবেন বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস। এরপরে ওখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান ছাতনা। এছাড়াও রয়েছে রাণী শিরোমণি এক্সপ্রেস।
গাংদুয়া ড্যাম : শালি নদীর উপর নির্মিত অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গাংদুয়া ড্যাম। দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গায়। এই জলধারাটি ছোটো হলেও সৌন্দর্যের নিরিখে কোনো অংশেই কম নয়। এর গা বেয়ে চলে গেছে লাল মাটির পথ।
আরও পড়ুনঃ শহরের কোলাহল থেকে দূরে স্বল্প সময়েই ঘুরে আসতে পারেন! রইল বাঁকুড়ার এই ৫ গোপন জায়গার হদিশ
মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট : মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোলঘেঁষা পিতৃপাহাড় টিলার উপরে তৈরী মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে দেখা যায় কংসাবতী ড্যাম। এখানে সংযোজন করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের সহজপাঠের প্রত্যেক পৃষ্ঠা। এখানে প্রবেশ করতে টিকিট মূল্য ১০ টাকা।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে পুরুলিয়াগামী ট্রেনে চেপে বাঁকুড়া স্টেশনে নামুন। তারপর ওখান থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন মুকুটমণিপুরের।
বড়দি পাহাড় : কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত ছোটো একটা পাহাড়। শাল-মহুয়ার জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাবেন আপনি। তারপর রয়েছে কয়েকটি ছোট ছোট গ্রাম। পাতাগড়া, ছোট-আমলাতোড়া, কৃষ্ণপুর, বড়-আমলাতোড়া, ডাঙাদেউলি, জামবনি, ছোট-গোয়ালডাঙা, চুয়াডাঙা আরও কত কি, এইসব গ্রামের সৌন্দর্যও আপনাকে মুগ্ধ করবে।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে বাঁকুড়া গামী ট্রেন ধরুন। তারপর সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান বরদি পাহাড়।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার কাছেই আছে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা! একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন, রইল এই ৫ জায়গার হদিস
শুশুনিয়া পাহাড় : বাঁকুড়া জেলার জনপ্রিয় একটি পাহাড় হল শুশুনিয়া পাহাড়। এটা জীবাশ্মের পাহাড়। সিংহ, জিরাফ, হায়না এবং আরও নানা প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। এই পাহাড়ের কাছে অবস্থিত প্রাচীনতম শিলালিপি। এই পাহাড়ের নীচে ঝর্ণার কাছে রয়েছে পাথরের নরসিংহ মূর্তি। এছাড়াও দেখতে পাবেন পাহাড়ের পাথর কেটে কেটে শিল্পীদের হাতের কাজ।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে করে নামুন ছাতনা স্টেশন এরপরে সেখান থেকে পৌঁছে যাবেন শুশুনিয়া পাহাড়।
বাকুড়া পৌঁছে গিয়ে এই পাঁচ জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন। আবার আলাদা আলাদা করেও যেতে পারবেন। তবে ভালো হয়, বাঁকুড়া পৌঁছে সব জায়গায় ঘুরে নেওয়া।