বাংলা ছবির ভিলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee)। একসময়ের ভিলেন মানেই হল বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখে ছোটো থেকে বড় সবাই ভয় পেত। এগুলি সবই তাঁর চরিত্রের গুণে। বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা সবেতেই সাবলীল। নব্বইয়ের দশকের বিখ্যাত সিরিয়াল ‘কুয়াশা যখন’-এ অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বামপন্থী মতাদর্শের অধিকারী, আর তাই আজ তাঁকে দেখা যায়না। কিন্তু বিতর্কিত মন্তব্য তাঁকে নিয়ে আসে শিরোনামে।
এই তো কদিন আগে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। পরে আবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বেঙ্গল’ এর কাছে একটি সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন টলিউডের হার্টথ্রব আবির চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee), তাঁর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, আর এ নিয়ে আবিরের বাবা ফাল্গুনী চ্যাটার্জীকেও কথা শুনিয়েছেন।
সম্প্রতি ওই সাক্ষাৎকারে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, বর্তমান সময়ের সমাজব্যবস্থা,টলিউড- সব নিয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, তাপস পালকে গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে, এতে আপনার কী মত? তিনি জানান, ‘ব্যক্তিগত ভাবে আমার এটা ভালো লাগেনি, সাধারণত গান স্যালুট নেতাদের দেয়, শহীদদের দেয়। রাজ্য সরকার খুশি হয়েছে তাই দিয়েছে, ভালো অভিনেতা ছিল, কিন্তু শেষের দিকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে’।
তিনি জানান, এই তাপস পালের মাথা জখম হয়েছিল ৩৪ টা সেলাই পড়েছিল। তাপস পালের রক্তের প্রয়োজন পড়েছিল, সেই সময় তাঁকে রক্ত দিতে তিনিই ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু এই বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের সাথেই তাপস পাল দুর্ব্যবহার করেন। এরপরই উঠে আসে আবির চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়,বাংলা সিনেমা নিয়ে কিছু বলছেন না কেন? দেব , প্রসেনজিৎ, জিৎ । এরপর তিনি বলেন, ‘নমস্কার, এরা সবাই নমস্য ব্যক্তি’! ‘আমাদের বর্তমান সময়ের মহানশিল্পী আবির চট্টোপাধ্যায় অনেক পাঠ করছেন ঠিক আছে, সল্ট লেক থেকে সে যাবে কালিকাপুর, আর আমি যাব দেশপ্রিয় পার্ক। সে পরিষ্কার গাড়ির ছেলেটাকে বলল, আমাকে আগে নামাবে, তারপর দেশপ্রিয় পার্কে যাবে’। গাড়িতে একসাথে উঠে আবির চট্টোপাধ্যায় এমন দুর্ব্যবহার করেছেন।
এরপরেই তিনি আবিরের বাবাকে (ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়) জানান, ‘এই আপনি শিক্ষা দিয়েছেন ছেলেকে, বাবা চুপ একদম’। এরপরেই নিজের ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘আমরা নিজেরা, কোথায় সৌমিত্র দার বাড়ি, আর কোথায় আমার বাড়ি, আগে আমি তাকে পৌঁছে দিতাম তারপর বাড়ি ফিরতাম। এটা বাড়াবাড়ি নয়, এটা স্বাভাবিক। এটা হল বয়স্ক মানুষকে শ্রদ্ধা জানানো। কিন্তু এখন এদের নেই, এরা অনেক কিছু পেয়ে গেছে। এদেরকে মানুষ বলব আমি, জীবনে বলবনা’।