ধারাবাহিক যখন একটা কাহিনী দিয়ে শুরু হয়, তখন দর্শকরা অধীর আগ্রহে দেখেন। কিন্তু যখন, মাঝে ঘটনা বদলে যায়, তখন দর্শকরা দেখতে বিরক্ত বোধ করেন। তখন তারা ট্রোলিং করতে শুরু করে। যেমনটা দেখা যাচ্ছে ‘মিঠাই’ (Mithai) ধারাবাহিকে। মিঠাই ধারাবাহিকের কাহিনী এখন বদলে গেছে। নায়িকার চরিত্রেরই বদল ঘটেছে। দর্শকরা যেরকম রূপে মিঠাই কে দেখে এসেছিল, সেই মিঠাই আর নেই।
মিঠাই মারা যাওয়ায়, মিঠাই-সিডের ছেলে শাক্য কে দেখাশোনার জন্য মিঠাই এর মত দেখতে মিঠির আবির্ভাব হয়। মিঠি একেবারেই মিঠাই এর থেকে আলাদা। কথা বলার ভঙ্গি আলাদা, পোশাকেও আলাদা, চুলের স্টাইলও আলাদা। একেবারে আধুনিকা সে। কিন্তু অনুরাগীরা একেবারেই অপছন্দ করছেন মিঠাই কে। সিডের পাশে মিঠাই কেই তারা চাইছেন।
অনুরাগীদের এই আগুনে ঘি ঢাললেন ধারাবাহিক নির্মাতা। গুন্ডাদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে মিঠাই আর সিড ঢুকে পড়ে গণবিবাহের মঞ্চে। তাদের দুজনকে বর কনে সাজিয়ে দেয়। গুন্ডাদের হাত থেকে বাঁচতে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হয় দুজনে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে সিদ্ধার্থ সিঁদুর পড়াতে বাধ্য হয় মিঠি কে। আর এতেই রেগে যান মিঠাই অনুরাগীরা।
আরও পড়ুনঃ সেই মিঠির গলাতেই মালা দিল সিদ্ধার্থ! নতুন প্রোমো দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ অনুরাগীদের
এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘সিড নাকি মিঠাই ছাড়া কাউকে ভালোবাসে না কত নেকামি। তাহলে মিঠি কে বিয়ে করলো কেনো’। সবাই দোষারোপ দিচ্ছেন সিড কে। আর এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘ ওরা বর-বউ সেজেছে বিয়ে করছে না। সিডের চরিত্রটা লেখিকা এমন ভাবে তৈরি করছেন মিঠাই ছাড়া অন্য কাওকে সিড বিয়ে করবে এটা কল্পনাও করা যায় না’।
এই সব মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সবাই কতটা চায় মিঠাই কে। মিঠাই কে ছাড়া সিড অসম্পূর্ণ। মিঠি মিঠাই রূপী হলেও, মিঠাই এর মত তার চরিত্র নয়, তাই অনেকেরই মেনে নিতে অসুবিধা নয়। অনেকেই তাই ধারাবাহিক না দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক অনুরাগী তাই লিখেছেন, ‘মিঠি মিঠাই হয়ে উঠুক এটা চাই না তাহলে ভালো লাগবে না বরং এমন হয় জানো সিড যেমন রিকি সেজে এসে ছিলো তেমনি মিঠাই ও মিঠি সেজে এসেছে মিঠি জেনো মিঠাই হয় তাহলে ভালো হবে না হলে মন টা ভেঙে যাবে’।