স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল, ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। এটি একটি নতুন ধারাবাহিক, শুরু থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে, কারণ এরকম মেয়ে কেন্দ্রিক ধারাবাহিক খুব কম দেখা যায়, ধারাবাহিক চ্যানেল গুলোতে। অন্যদিকে অনেক দিন পর রাজনীতির মঞ্চ থেকে কামব্যাক রূপা গাঙ্গুলির, আর তাই বেশ জমিয়েই করছেন অভিনয়। তা দেখে খুব উদগ্রীব দর্শকরা।
তবে ধারাবাহিক যারা দেখেন, তারা জানেন, এখানে রূপা গাঙ্গুলি অর্থাৎ বীথি খুবই কঠোর। তাঁর ছেলে ডোডোর সাথে মৌয়ের বিয়ে হয়, মৌকে বীথি মেনে নিতে পারে না। কারণ মৌকে তাঁর পছন্দ নয়, মৌয়ের মায়ের সাথে বীথির শত্রুতা আছে, মৌয়ের মা খুব খারাপ মানুষ, আর তাই বীথি মনে করেন, তার মায়ের মতো মৌও একজন খারাপ মানুষ।
অন্যদিকে আবার ডোডোর সাথে ১২ বছরের সম্পর্ক ছিল চাঁদনির, কিন্তু ভাগ্যক্রমে পরিস্থিতির চাপে পড়ে ডোডোকে বিয়ে করতে হয় মৌকে। চাঁদনির সাথে বিয়ে ভেঙে ডোডো বিয়ে করছে মৌকে এতে আরও রেগে যায় বীথি। আর তাই সব রাগ গিয়ে পড়ে মৌয়ের উপর। মৌয়ের প্রণাম নেয়না। বীথি মৌকে জানিয়ে দেয়, এই বাড়ির বৌ হওয়া অত সহজ নয়।
তবে ডোডোর মা যেমন মৌকে ভুল বুঝেছে, ডোডো কিন্তু সবসময় মৌয়ের পাশে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, মৌকে ভুল বুঝছে ডোডো। ফুলশয্যার দিন, ডোডো মৌকে জানায়, সে ড্রয়িংরুমে নোবেল, কিন্তু মৌ যেতে দেয়না, সে বলে, ‘ আমরা দুজনে স্বামী-স্ত্রী, আমাকে মধ্যে যায় হোক, এই বন্ধ ঘরে হোক, আমি চাইনা অন্য কেউ অহেতুক প্রশ্ন তুলুক’। এরপর দেখা যায়, ডোডো বলে লাইটটা নিভিয়ে দিয়ে উল্টো দিকে মুখ করে ঘুমাতে।
কিন্তু মৌ অন্ধকারে ঘুমাতে পারেনা, এতটুকু সবই ঠিক ছিল, কিন্তু তারপরেই দেখা যায়, ডোডোর বাবা ডোডোকে ডাকছে, এই দ্যাখ তোর মা কেমন করছে। এই ঘটনায় সকলেই দোষ দিচ্ছেন বীথির উপর। বীথি জোর করে অসুস্থতার ভান করে, মৌঝরের ফুলশয্যার বারোটা বাজিয়ে দিল। অনেকেই একে তুলনা করেছেন নিম ফুলের মধুর সাথে। তারা বলছেন মেয়েবেলা নয়, নিম ফুলের মধু ২।