‘আমি কি ভুল করলাম?’ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ উঠতেই, ভিডিও সামনে এলো জিতুর!

সম্পর্কের কোনো গ্যারান্টি নেই, আজ সম্পর্ক আছে, কাল সম্পর্কের বিচ্ছেদ হতেই পারে।  ৩০-৪০ বছর আগের গুটিকয়েক মানুষ এই বিচ্ছেদ প্রসঙ্গটা ভাবতে পারত। এখন যেন এই

Saranna

after separation news smart jodi clip of jeetu nabanita goes viral on social media

সম্পর্কের কোনো গ্যারান্টি নেই, আজ সম্পর্ক আছে, কাল সম্পর্কের বিচ্ছেদ হতেই পারে।  ৩০-৪০ বছর আগের গুটিকয়েক মানুষ এই বিচ্ছেদ প্রসঙ্গটা ভাবতে পারত। এখন যেন এই বিচ্ছেদ জল ভাত। টলিপাড়ার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিচ্ছেদের পর্ব। কারোর ৬ মাসে বিচ্ছেদ আবার কারোর ৫ বছরে বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের যেন কোনো বয়স হয়না। ১ দিনেও হতে পারে বিচ্ছেদ। সম্প্রতি টলিপাড়ার যে জুটির বিচ্ছেদ নিয়ে সরগরম টলিপাড়া সেটা হল নবনীতা দাস (Nabanita Das) আর জীতু কামাল (Jeetu Kamal)। 

২০১৯-এর ৬ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই জুটি। দেখতে দেখতে কেটে গেল চার চারটে বছর। দু মাস আগেই পালন করলেন চতুর্থ তম বিবাহ বার্ষিকী। আর তার মাঝেই নবনীতার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল হৃদয়বিদারক পোস্ট। আর একসাথে থাকবেন না তারা। আর একসাথে সময় কাটানোও হবেনা। এই পোস্ট দেখেই বোঝা গেল বিচ্ছেদ অবশম্ভ্যাবী। নবনীতা বিচ্ছেদের কথা লিখলেও জীতু লিখেছেন অন্য কিছু।

this bengali serial celebrities are real life husband wife (nabanita das & jeetu kamal)

তিনি লিখলেন, ‘তোমায় শুরুতেও আগলেছি, আজও আগলাবো। আগামীতে তাই করবো, বাচ্চা বউ। মিডিয়া বন্ধুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী একটু বোঝো তোমরা’। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি বিচ্ছেদ নয়? জানা যায় তিন চার মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে আইনি বিষয়গুলো। শোনা যাচ্ছে এই বিচ্ছেদের কারণ তৃতীয় ব্যক্তির আগমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নবনীতা লাইভে এসে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন নাকচ করে দিয়েছেন। অনেকেই ভেবেছিলেন শ্রাবন্তীর জন্য তাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে। কিন্তু নবনীতা তা নাকচ করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন জীতু ছবির কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে নবনীতাকে সময় দিতে পারছেন না। এই কারণেই বিচ্ছেদ। এরই মাঝে তাদের একটি পুরানো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। স্টার জলসার ইস্মার্ট জোড়ি নামক একটি রিয়ালিটি শোয়ে গিয়েছিলেন দুজনেই। সেখানে জীতু বলছেন, ‘আমি সবসময় মজার মধ্যে থাকি। আমি যেদিন বিয়ে করছি আমি সেদিন বিশ্বাস করতে পারিনি যে আমি বিয়ে করছি। বিয়ের আগের দিন রাতে আমি ওকে একটা বড় ম্যাসেজ পাঠাই। তাতে লিখি, তুমি ঠিক করছ তো? এর আগে আমি কোনো দায়িত্ব নিইনি। 

বাবা-মার দায়িত্ব অন্যরকম দায়িত্ব। আমি যদি ভালোবাসা নাও দিতে পারি বাবা-মা দিয়ে যাবে। কিন্তু আমাকে ওকে যে করেই হোক ভালো রাখতে হবে। বাবা-মার কাছ থেকে ওকে নিয়ে আসছি, এক মেয়ে ও। ওই সময় আমি ভাবছি ঠিক করলাম কি ভুল করলাম! সিঁদুর দানের সময় আমার হাত কাঁপছে।’ বাচ্চা নবনীতা যে আর বাচ্চা নেই সেটা সে বউ হওয়ার পরেই বুঝতে পেরেছিল। তাঁর কথায়, ‘ শ্বশুর মশাই আমাকে বৌমা বলছেন, ওর ভাই আমাকে বৌদি বলে ডাকছেন। এই ডাক গুলোই আমাকে বুঝিয়েছে আমি নবনীতা নেই, আমি একজনের স্ত্রী হয়ে গিয়েছি।’

× close ad