সাইবার ক্রাইম কমাতে এলো নতুন দিশা। নতুন সাইবার সুরক্ষা (Cyber Protection) পদ্ধতির পথ বাতলে দিয়েছেন বাংলার তিন গবেষক। সাইবার ক্রাইম এখন নিত্য ব্যাপার হয়ে উঠেছে। মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন বারংবার। এটিএম তো ছিলই এর সাথে সাথে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকমের অনলাইন লেনদেনের প্রতারণাও। তবে এই অনলাইন প্রতারণার হার যাতে কমানো যায় সেই চিন্তা থেকেই বাংলার তিন গবেষক জানিয়েছেন এক নতুন সুরক্ষা পদ্ধতির কথা।
ওই তিন গবেষক হলেন, তাপস মজুমদার ও অরবিন্দ মল্লিক ওনারা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিদ্যার সহকারী অধ্যাপক। আর আরেকজন হলেন প্রভাকর পাল যিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী গবেষক। এই তিন গবেষক মিলে নিজেদের ভাবনাকে প্রশস্ত করে গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে যে পদ্ধতি বার করেছেন তা হল আমাদের গোপন তথ্যগুলিকে আলোক-রাসায়নিক সংকেতে বদলে দেওয়া। আর এই পদ্ধতি কাজে লাগালে সাইবার সুরক্ষা (Cyber Protection) দ্বিগুন করা যাবে।
এটিএম সুরক্ষায় নতুন পদ্ধতি : (New Protection ideas for ATM)
তারা জানিয়েছেন, পাসওয়ার্ডের মত গুতুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি বৈদ্যুতিক সংকেতে ফেলে সুরক্ষিত করে রাখা হয়। কিন্তু তার থেকেও সুরক্ষিত পদ্ধতি হতে পারে ওই তথ্যকে বৈদ্যুতিক সংকেতের বদলে আলোক-রাসায়নিক সংকেতে বদলে দিলে। তারা গাণিতিক পদ্ধতির সাথে আলোক রাসায়নিক পদ্যটি জুড়ে দিলে সাইবার সুরক্ষা বাড়ানো সম্ভব। এই পদ্ধতি বিশেষত এটিএম (ATM) এর ক্ষেত্রে প্রবল কার্যকরী হবে।
তাদের কথার অর্থ কিছুটা এইরূপ, প্রতিটি ইনপুট বোতামের সাথে কিছু রাসায়নিক রঞ্জক পদার্থের মিশ্রণ থাকবে। যখন বোতাম প্রেস করা হবে তার থেকে রাসায়নিক রঞ্জক নিঃসৃত হবে। সেই রঞ্জক প্রতিবার আলাদা পরিমান ও আলাদা ঘনত্বের হবে যার থেকেই তৈরী হবে রাসায়নিক সংকেত। এছাড়াও এই পদ্ধতি গ্রহণ করলে এটি ব্যবহারের সাথে প্রত্যেকবার নতুন ওটিপি (OTP) উৎপন্ন হবে যা সুরক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি সাহায্যকারী হবে।
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত বর্ষার জেরে রেলপথে পাহাড়ের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, আসাম-ত্রিপুরায় ধসে ঝুলছে রেলপথ
তাদের এই গবেষণার কথা অনুযায়ী এতো হ্যাকিং কেবল পরিচয় পত্রের সুরক্ষার অভাবে। তাই পরিচয় পত্রের গোপনীয়তার সুরক্ষা বাড়াতে পারলে হ্যাকিং এর মতো কাজ বন্ধ করা যাবে।