জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিক শুরু থেকেই দর্শকের সমালোচনায় উঠে আসে বারবার। বুঝতেই পারছেন কোন ধারাবাহিকের কথা বলতে চাইছি। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। বাবুর মায়ের কাণ্ডকারখানায় মাঝে মাঝে হতবাক হয়ে যান দর্শক। যেও বৌ কে মোটে সহ্য করতে পারেনা সৃজনের মা তার সাথে কি সুন্দর ছেলের ভালোর কথা ভেবে ফ্যাশন শো তে যোগ দিল।
কিন্তু, যখনই জানতে পারল যে ছেলে যে ব্যবসাটা করছে তার মূল কান্ডারি তার বউ, অমনি বৌমা তার কাছে আবার চক্ষুশূল। ঠক, প্রতারক, যার সাথে ঘর সংসার করা একেবারেই যায়না। তাই তিনি সৃজনকে স্পষ্ট জানিয়েছেন পর্ণাকে যেন সে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। তিনি নাকি কুলোর বাতাস দিয়ে পর্ণাকে বাড়িছাড়া করবেন।
সৃজনও ডিভোর্সের কথায় মাকে থামায়নি। সে নিজেও এই কথায় চুপ থেকে সায় দিয়েছে। তার কাছে পর্ণা আর যার সম্পর্ক মিথ্যে ঠেকতে শুরু করেছে। তবে সবাই ভুল করলেও সৃজনের বাবা বরাবরের মত নিজের ছেলেকে সদ্বুদ্ধি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি পর্ণাকে নিজের মেয়েই মনে করেন। তাই তার ভুলটার সাথে সাথে তার পিছনের উদ্দেশ্যটাও তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন।
সৃজন তার মায়ের ডিভোর্সের কথায় প্রতিবাদ না করায় সৃজনের বাবা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সে যদি মায়ের কথা মত এমন পুরুষ বলেই নিজেকে দাবি করে, যে কিনা মনে করে ‘বউ এর টাকায় খাওয়া যায়না’ তাতে সন্মান হানি হয় তাহলে পর্ণার তার ব্যবসা সূত্রে দেওয়া সব টাকা বা পর্ণার সমস্ত গয়না আগে সৃজন ফিরিয়ে দিয়ে তারপর যেন তাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা ভাবে।
আরও পড়ুনঃ ‘তেঁতো কাটিয়ে মিঠের হদিস’ ‘নিম ফুলের মধু’র জ্যেঠুর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক
সৃজনের বাবার এই কথায় সকলেই চুপ করে যায়। তবে সৃজনের মা তো এত সহজে সব মেনে নেওয়ার মানুষ নন। এবার দেখার সৃজন শেষমেষ নিজের ভুলটা বুঝতে পারে কিনা। পর্ণা যে সৃজনকে কোনো দয়া করেনি বরং সাহায্য করতে চেয়েছিল সেকথা সৃজন বুঝবে কিনা সেটাই এখন দেখার পালা। পর্ণা তার দোষ স্বীকার করে নিলেও তাকে সকলে ক্ষমা কি করবে ?