Icche Putul : জি বাংলায় (Zee Bangla) যে কটি ধারাবাহিক বর্তমানে সম্প্রচারিত হয়, তার মধ্যেকার স্বতন্ত্র একটি ধারাবাহিক হল ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। অনান্য ধারাবাহিকের মতো দুই বোন একে অপরের পরিপূরক নয়। বরং এক বোন আর এক বোনের ক্ষতি চায়, সর্বনাশ চায়। আর এই কথা আবারও প্রমাণিত। ময়ূরী ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে তার বোন মেঘকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করল। মেঘের সাথে জিষ্ণুর নাম জড়ানো।
মেঘের নামে খবরের কাগজে রসিয়ে কষিয়ে লেখা এই সবকিছুর পিছনে যে শয়তান ময়ূরীর হাত রয়েছে, তা প্রায় কমবেশি সকলেই আন্দাজ করেছে। মেঘ এই অপমান সহ্য করতে না পেরে এখন মরণ-বাঁচন অবস্থার মধ্যে আছে। ময়ূরী তাই ভয় পেয়ে যায়, নিজেকে এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে থেকে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেকে বের করে নিলে কি হবে, রূপ তো আছে।
ময়ূরীর বলা প্রত্যেকটা কথা রূপের কাছে আছে। ময়ূরী খুব ভালো করেই জানে, মেঘ যদি একবার মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসে, তাহলে ময়ূরী শেষ। আর তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য মেঘকে আবার মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়। মেঘের বাবা অনিন্দ্য বাবু মেঘের এই কষ্ট কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা। তাই তিনি মেঘের এই অবস্থার পিছনে যারা দায়ী তাদের প্রত্যেককে শাস্তি দেবে।
ময়ূরী যাতে শাস্তি না পায়, তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য ছুটে গেছে হাসপাতালের কেবিনে। সেখানে গিয়ে নীলকে হাত করার চেষ্টা করে। কিন্তু নীল যখন তার কথা শোনেনা, তখন সে তার মায়ের কাছে যায়। মধুমিতা ছিল মেঘের কেবিনে। সেখানে গিয়ে মেঘের সাথে ঘটে যাওয়া নোংরামি গুলো বলতে থাকে।
ময়ূরী জানে মেঘের জ্ঞান ফিরবে, তাই মেঘকে শোনানোর জন্য কথাগুলো বলে। মেঘ সেই কথা গুলো শোনে। মেঘের অবস্থা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। চিকিৎসক জানায়, মেঘ কোমায় চলে গেছে। ময়ূরী আরও ভয় পেয়ে যায়, ময়ূরী ফোন করে রূপকে, আর বলে, আমার খুব ভয় হচ্ছে, আমি তো ধরা পড়ে যাব। এইসময় মধুমিতা ময়ূরীর ঘরে ঢুকে পড়ে। ময়ূরীর ফোন চেক করতে যায়। এবার কি হবে?