Anindya-Rajnath : মা বা বাবা শব্দ দুটো ছোট হলেও আক্ষরিক অর্থ অনেকটা বড়। সন্তানকে ঠিক ভুলের শিক্ষা দিতে বাবা-মায়ের ভূমিকা অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ। জেনে না জেনে সন্তান তাদের দেখানো পথেই চলে। সন্তানের খারাপও বাবা-মায়ের, আবার ভালোটাও তাদেরই। সিরিয়াল গুলি বাস্তব থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই গড়ে ওঠে। এমন দুজন মানুষ হলেন বাংলা ধারাবাহিকের (Bengali Serial) অনিন্দ্য (Anindya) আর রাজনাথ (Rajnath)। প্রত্যেকটা বাংলা ধারাবাহিকে এক এক রকমের বাবা-মা-এর চরিত্র দেখা যায়।
সেখানে যেমন পরিবারের ভালোবাসা থেকে, কূটকাচালি থাকে তেমনই বাবা-মা কে ঘিরে একটা বড় শিক্ষাও থাকে। প্রত্যেকেই নিজেদের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর আলাদা পরিভাষা বোঝান। কেউ নিজের প্রতিহিংসায় সন্তানকে জড়িয়ে ফেলেন তো কেউ নিঃস্বার্থ ভাবে সব সন্তানকে নিজের আলাদা সৎ পথ বেছে নিতে দেন। আর এখানেই বোঝা যায় সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবা-মায়ের ভূমিকা।
জি বাংলার (Zee Bangla) চলতি দুই ধারাবাহিকের বাবা নজর করেছেন দর্শকের। একজন ভালোবাসার নজির গড়েছেন। অপরজন প্রতিহিংসায় অপরাধী হওয়া। একজন হলেন জি বাংলার ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) সিরিয়ালের অনিন্দ্য। আর একজন হলেন জি বাংলারই ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri) সিরিয়ালের রাজনাথ। একদিকে এক বাবা রাজনাথ মুখার্জী যেখানে তার ছেলে উৎসবের একের পর এক অপরাধ দেখেও টাকার প্রভাব খাটিয়ে সেগুলো ধামাচাপা দিয়ে চলেছেন।
আরেকদিকে, মেঘ আর ময়ূরীর বাবা অনিন্দ্য রায়। যিনি নিজের দুই মেয়েকেই সমান আদর্শে বড় করতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মেঘ সঠিক মানুষ হলেও বোনের প্রতি প্রতিহিংসায় ময়ূরী নিজের জীবন নিজেই বিষাক্ত করে তুলেছে। রাজনাথ মুখার্জীর যেখানে সৎ সাহসের অনেকটা অভাব, সেখানে অনিন্দ্য রায় স্পষ্টবাদী। প্রবল আত্মসন্মানি। ময়ূরীর দোষ ঢেকে তিনি আরেক মেয়ের প্রতি অন্যায় করেননি।
ময়ূরীকে শাস্তি দিয়ে মেঘের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার পাইয়ে দিয়েছেন। তবে মেঘ তার একমাত্র সন্তান নয়। ময়ূরীও তারই সন্তান। তাই তিনি যেমন একদিকে মেঘের জন্য খুশি অন্যদিকে ময়ূরীর জন্য অন্তর থেকে রক্তাক্ত। ময়ূরীর শিক্ষাও যে কোনোভাবে বাবা-মায়েরই দায়। মেঘ যদি সঠিক শিক্ষা পেয়েছে তাতে যেমন বাবা-মা গর্বিত, ময়ূরীর কুশিক্ষায় বাবা-মা লজ্জিত। যে লজ্জার ছিটেফোঁটা রাজনাথ চরিত্রে দেখা যায়না। তাই দর্শক রাজনাথের মত নয় বরং অনিন্দ্যর মত বাবা দেখতে চান ঘরে ঘরে।