স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona)। এই ধারাবাহিকে এখন চলছে দূর্ধর্ষ সব চমক। সব বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে লালন- ফুলঝুড়ি একে অপরের সঙ্গে সাতপাঁকে আবদ্ধ হয়, কিন্তু সেই সম্পর্কের স্থায়ীত্বকরণ বেশি দিন ছিলনা। সাধারণ পরিবারের দুই ছেলে-মেয়ে স্বপ্ন দেখেছিল একসাথে বাঁচবে, একসাথে সংসার করবে, কিন্তু বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই অচিরেই ভেঙে যায় সব স্বপ্ন।
বিয়ের পর পরিবারের সবাই অর্থাৎ, লালন, ফুলঝুড়ি মিনি, মিনির মাস্টার মশাই, কমলিনী, শান, চড়ুই, চড়ুইয়ের মা চান্দ্রেয়ী সকলে মিলে সমুদ্রে বেড়াতে গেছে, এটাই লালন- ফুলঝুড়ির হানিমুন। কিন্তু এই হানিমুনটাই বিপদ ডেকে আনল ফুলঝুড়ির জীবনে। সমুদ্রে তলিয়ে যায় লালন। পুলিশের তৎপরতায় লালনকে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু পাওয়া গেলে কি হবে, লালনের শারিরীক অবস্থা ভালো নয়, সে কোমায় চলে গেছে। এখন সে হাসপাতালে শয্যাশায়ী।
এর মাঝে দেখা যায়, এইসবের পিছনে রয়েছে চান্দ্রেয়ী, নিজের ফাঁদে নিজেই ফেঁসে গিয়েছে। লালন আর ফুলঝুড়ির সর্বনাশ করিয়েছে, তাঁর বান্ধবী শ্রীরূপাকে দিয়ে। কিন্তু এই শ্রীরূপাই চান্দ্রেয়ীর মেয়েকে হোটেলে বিক্রি করে দেওয়ার ফাঁদ পাতে। শ্রীরূপা চান্দ্রেয়ীকে বলে, তাঁর মেয়েকে যদি তার হাতে না দেয়, তাহলে চান্দ্রেয়ীর সব কীর্তি ফাঁস করে দেবে।
অন্যদিকে চান্দ্রেয়ী ফোনে শ্রীরূপার সাথে কথা বলে, সেটা শুনে নেয় ফুলঝুড়ি। এবং জানতে পারে যে, লালনের এই খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী চান্দ্রেয়ী। লালনকে খুন করার চেষ্টা করেছে চান্দ্রেয়ী। ফুলঝুড়ি কেঁদে কেঁদে সকলের সামনে এই সত্যিটা প্রকাশ্যে আনে। ফুলঝুড়ি রয়েছে বিধবার বেশে, লালনের শোকে সে কাতর। বাড়ির সবাই জানে লালন আর বেঁচে নেই, কিন্তু সে হাসপাতালে কোমায় রয়েছে।
View this post on Instagram
কিন্তু লালনের অবস্থার জন্য ফুলঝুড়ি বেশ খুশিই হয়েছে। তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে। সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট লক্ষ করলে দেখা যাবে, যে তিনি অভিনেত্রী ইপ্সিতা মুখার্জীর সাথে নাচছেন, বিধবার বেশে। এই দৃশ্য দেখে সকলে বেশ উপভোগ করেছেন। অনেকে এই দুই অভিনেত্রীর অফস্ক্রিন মজা দেখে যেমন তাদের প্রশংসা করেছেন। আবার অনেকে তাদের নিয়ে ধারাবাহিকের সাথে মিলিয়ে ব্যাঙ্গও করেছেন।
প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকে বড়ো মোড় আসতে চলেছে। ইতিমধ্যে লালন যে বেঁচে আছে তা দর্শক জানতে পেরেছেন। যদিও ধারাবাহিকে এখনও কেউ জানেনা যে লালন বেঁচে আছে। অন্যদিকে ফুলঝুরি জানতে পেরে গেছে যে, লালন কোনো দুর্ঘটনাবশত জলে ডুবে যায়নি বরং তাকে চড়ুইয়ের মা প্ল্যান করে মেরেছে।