বর্তমানে স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona)। এই ধারাবাহিকের কাহিনী বেশ ভালো লাগত দর্শকদের। কিন্তু বর্তমানে উল্টো, একদমই ভালো লাগেনা কাহিনী। ধারাবাহিকটি নিয়ে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে। সমালোচনাটা এমন জায়গায় এসে উপস্থিত হয়েছে , ধারাবাহিকের লেখিকাও বাদ যায়নি। সবাই লেখিকার লেখনী, লেখিকার মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
ধারাবাহিকের কাহিনী শুরু হয়েছিল যখন, তখন দেখা যায় একজন বস্তির মেয়ে ফুলঝুরি। সে একটি বাড়িতে কাজ করে। তার স্বপ্ন সংসার করার। অন্যদিকে লালন এই গল্পের নায়ক, ফুলঝুরি যে বাড়িতে কাজ করে, সেই বাড়িরই গাড়ি চালায় লালন। তার স্বপ্ন একজন বড় গায়কের। এইভাবেই এগিয়ে যায় সমাজের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত জীবন যাত্রার কাহিনী। কিন্তু এখন কাহিনী বদলে গেছে।
লালন ফুলঝুরি একে অপরকে ভালোবাসে। কিন্তু তাদের জীবনে রয়েছে অনেক বাঁধা। লালনের সাথে ফুলঝুরির বিয়ে কিছুতেই হতে দেবে না চড়ুই। ফুলঝুরির পরিবর্তে চড়ুই বিয়ের পিঁড়িতে বসে।ফলে চড়ুই এর সাথে বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হন লালন। কিন্তু একদিন চড়ুইয়ের সব ষড়যন্ত্র লালন জেনে যায়। এরপর লালনের সাথে চড়ুইয়ের বিয়ে ভাঙে।
আবার ফুলঝুরি কেই বিয়ে করেন লালন। কিন্তু চড়ুইয়ের মা আর চড়ুইয়ের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সমুদ্রের জলে ডুবে যায় লালন। সবাই ভাবে লালন মারা গেছে, ফুলঝুরির পড়নে রয়েছে বিধবার বেশ। কিন্তু লালন বেঁচে আছেন। তাঁর সমস্ত স্মৃতি শক্তি হারিয়ে গেছে। সে এখন রয়েছে ডাক্তারের বাড়িতে। ডাক্তারের ছেলের মত যত্ন পাচ্ছে।
আর ডাক্তারের মেয়ে তিতির, লালনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। লালনকে বিয়ে করার স্বপ্নও দেখেছেন। বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। বর্তমানে ফুলঝুরিকে তো নাই এমনকি নিজের বাবা, মা, দিদিকে সামনে দেখেও চিনতে পারেনি লালন। আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসবে বলে প্রস্তুত লালন।
আর এই দৃশ্য দেখে বেজায় চটে গেছেন দর্শকরা। বিয়ে দেখিয়ে টিআরপি বাড়ানোর সুযোগ লীনা গাঙ্গুলী ছাড়তে চাননা। এক নেটিজেন তো ‘ধূলোকণা’ বদলে বলছেন ‘বিয়েকণা’। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার। কারণ প্রত্যেক বার লালনের সাথে অন্য কারো বিয়ে ঠিক হলেও, শেষ পর্যন্ত ফুলঝুরির সাথেই লালনের বিয়ে হয়। এবার কি হয় সেটাই দেখার।