আপনি কি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী? তাহলে ঘুরে আসুন একবার এই ৪০০ বছরের পুরোনো গাছের উপর হোম স্টেতে!

আমরা আমাদের এই সুন্দর জীবনটা সুন্দর ভাবে কাটাতেই পছন্দ করি। আর সেই জীবনে আমরা চায়, শুধুই অ্যাডভেঞ্চার। তার জন্য আমরা নানারকম ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কখনও

Saranna

eco friendly treehouse around 400 year's old in munnar kerala

আমরা আমাদের এই সুন্দর জীবনটা সুন্দর ভাবে কাটাতেই পছন্দ করি। আর সেই জীবনে আমরা চায়, শুধুই অ্যাডভেঞ্চার। তার জন্য আমরা নানারকম ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কখনও যায় বনে জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চারের জন্য, আবার কখনো যায় পাহাড়ে। যারা এরকম ভাবে অ্যাডভেঞ্চারের সাহায্যে নিজেদের জীবনকে এরকম উপভোগ করতে চান, রইল তাদের জন্য একটা নতুন ঠিকানা। 

আমাদের পৃথিবীতে নির্বিবাদে গাছ কেটে দেওয়া হয়। গাছ কে সঙ্গে করে নয়, গাছকে উপড়ে ফেলে বাড়ি বানানো হয়। কিন্তু এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কিন্তু এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা সত্যিই প্রকৃতিপ্রেমী। ভালোবাসেন প্রকৃতিকে। তাই গাছ কেটে নয়, গাছকে সঙ্গী বানিয়ে করলেন বাড়ি। কেরলের দম্পতি পলসন ও এলজা তাদের ইচ্ছা ছিল প্রকৃতির সাথে বসবাস। আর তাই জঙ্গলের মধ্যেই গাছের উপর বাড়ি বানালেন। 

a eco friendly treehouse around 400 year's old in munnar

স্বামী- স্ত্রী দুজনেই দীর্ঘ দিন দুবাইতে ছিলেন। কিন্তু সেখানে একদম তাদের ভালো লাগছিল না। কারণ সেখানে গাছপালা নেই। প্রায়ই তারা চিন্তা ভাবনা করতেন কেরালায় ফেরার। তাদের চার সন্তানও যেন এক প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে পারে সেটা করার জন্য তারা  দুবাই থেকে ফিরে গেলেন কেরালায়। 

মুন্নারের খুব কাছে দবগিরি নামক জায়গায় পলসনের দাদু জমি কিনেছিলেন, সেখানে চাষবাস করতে শুরু করেন। কোনো গাছ কাটেননি। বন্য প্রাণী যাতে গাছের কোনো ক্ষতি না করে তার জন্য গাছের উপর একটি ওয়াচটাওয়ার তৈরি করেন, আর সেই ওয়াচ টাওয়ার দেখে তিনিও ভাবেন এরকম ট্রি হাউজ বানাবেন । আর তাই দুবাই থেকে ফিরে তাই করলেন। 

jungle live eco friendly treehouse

এই ট্রি হাউজ তৈরি করতে তারা ৪০০ বছর পুরোনো একটি কালোজামের গাছ বাছাই করে নেন। ১০ ফুট উঁচু দোতলা বাড়ি তৈরি করেন গাছের উপর। এই বাড়ি তৈরিতে কোনো কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহার হয়নি। এই বাড়িতে আছে চারটি ঘর, সবকটাতেই রয়েছে আলাদা স্নানঘর। বাড়ির আশেপাশে হচ্ছে চাষবাস। আর সেই বাড়ির একতলা  থেকে সমস্ত টা দেখা যায়।

জঙ্গলের মাঝে প্রকৃতির কোলে থাকতে কেরলের এই ট্রি হাউজে যেতেই পারেন। পলসন জানান, ‘যে কোনও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ যদি আমাদের বাড়িতে এসে থাকেন, তাহলে  জঙ্গলের মাঝেই বাড়িতে বানানো খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আর এই সবুজে ঘেরা চারপাশ দেখলে মন ভাল হবেই’। 

Related Post