আমাদের চারপাশে পরিবেশে এমন অনেক কিছুই আছে যার ব্যাখ্যা এখনও অধরা। পরিবেশ আমরা ছোট থেকেই জেনে এসেছি বা পাঠ্য বইতে পড়েছি আমাদের চারপাশে যা কিছু আমরা দেখতে পাই সেই সবটা নিয়ে আমাদের পরিবেশ। কিন্তু পরিবেশকে বুঝতে পারা খুব কঠিন। মানুষ মরণশীল হলেও পরিবেশ তার সাথে যুগ যুগান্ত ধরে বহন করে চলেছে হাজারো ইতিহাস, আর অনেক গোপন রহস্য। যেমন কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে ভারত মহাসাগরের সকোত্রা দ্বীপপুঞ্জে (Socotra Island) ড্রাগন ব্লাড ট্রির (Dragon Blood Tree) মধ্যে।
পরিবেশের বেশ কিছু রহস্য মরণশীল জীব মাত্র মানুষের কাছে আজও রহস্যই থেকে গেছে। অথবা এমন কিছুর সন্ধান মানুষ পরিবেশে খুঁজে পেয়েছে যার কোনো যুক্তিগত সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। অথবা কোনো ব্যাখ্যাই হয়ত তারা খুঁজে পাননি। এমনই এক আশ্চর্য গাছের কথা আপনাদের জানাব আজ। যে গাছ হাজার হাজার বছর ধরে জীবিত রয়েছে সকোত্রা দ্বীপপুঞ্জে (Socotra Island)। আর এই গাছ গরমে অধিক বৃদ্ধি পেতে থাকে। জানুন কি এই ড্রাগন ব্লাড ট্রির (Dragon Blood Tree) রহস্য ।
সকোত্রা দ্বীপপুঞ্জের ড্রাগন ব্লাড ট্রি (Dragon Blood Tree of Socotra Island)
প্রায় ৬৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে গাছটি প্রকৃতির বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক ঘটনার অনেক পরিবর্তনের সাক্ষী স্বরূপ আজও বিরাজমান সে ভারত মহাসাগরের তীরে সকোত্রা দ্বীপপুঞ্জে। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হল গাছটির অভ্যন্তরে মানুষের মতো রক্ত। সেই গাছ কাটলে বেরিয়ে আসে লাল রক্ত। যা দেখে আশ্চর্য হন সকলেই। গাছটির নাম ড্রাগন ব্লাড ট্রি। গাছটি ৩৩-৩৯ ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে বাড়তে পারে।
এই গাছটির গা থেকে বেরিয়ে আসা লাল রঞ্জক পদার্থটির থেকেই এই গাছটির নামকরণ হয়েছে ড্রাগন ব্লাড ট্রি (Dragon Blood Tree)। ওই দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় আদিবাসীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ওই গাছের ওই রঞ্জক পদার্থটিকে তারা ড্রাগনের রক্ত বলে মনে করেন। স্থানীয়রা ওই লাল রঞ্জক ওষুধ হিসাবে কাজ করে মনে করেন। এছাড়াও রঙের ক্ষেত্রে বা বার্ণিশের ক্ষেত্রে এই লাল রঞ্জক তারা ব্যবহার করেন।