উত্তম কুমার তো মহানায়ক বটেই, উত্তম কুমার ছাড়াও টলি (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন অনেক তাবড় তাবড় অভিনেতা। যারা বাঙালীর বেশ পছন্দের মানুষজন, তাদের দেখেও মানুষজন ক্রাশ খায়। তাদের দেখেও মানুষজন আবেগে ভেসেছেন। এখনো ভাসেন। সেরকম একজন অভিনেতা হলেন রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick)। অনেক অভিনেতার সম্পর্কে শোনা যায় তারা নাকি সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন একাধিক নারীর সাথে।
কিন্তু রঞ্জিতের ক্ষেত্রে তা শোনা যায়না। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের ছেলে হলেন রঞ্জিত মল্লিক। রঞ্জিত মল্লিকের ডাক নাম রঞ্জু। ১৯৭১ সালে মৃণাল সেনের ইন্টারভিউ ছবির হাত ধরে শুরু হয় অভিনয় যাত্রা। প্রথম ছবিতেই পেয়েছেন আন্তর্জাতিক সেরা অভিনেতার পুরস্কার। উত্তম কুমারের সাথেও কাজ করেছেন অভিনেতা।
তারপর একে একে দেবী চৌধুরানী, স্বয়ংসিদ্ধা ছবিতে অভিনয় করেছেন। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়ের শাখাপ্রশাখা ছবিতে। কাজ করেছেন মৌচাক-এ। তারপর ধারাবাহিক ভাবে বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করেছেন। দেখা গেছে বড় দাদার চরিত্রে, মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রে, ডাক্তারের চরিত্রে, মাস্টারমশাই এর চরিত্রে। বেশিরভাগ সময়েই কাজ করেছেন দায়িত্ববান দাদার চরিত্রে।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের পরেই আক্ষেপ শ্রীময়ীর, কি নিয়ে অসুখী তৃতীয় পত্নী? নিজেই জানালেন অভিনেত্রী
অভিনয় করেছেন মুনমুন সেন, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া রায়চৌধুরী সহ একাধিক অভিনেত্রীদের সাথে কাজ করেছেন। অভিনয় করলেও কখনো গুঞ্জন শোনা যায়নি অন্য নারীর সাথে। বরং স্ত্রী দীপা মল্লিকের সাথেই করেছেন সুন্দর সংসার। কেন তিনি অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ হননি? এর উত্তরে জানান, ‘আমি চিরকালই মহিলাদের একদমই অন্য চোখে দেখে এসেছি।
তাঁদের সবসময়ই আমি শ্রদ্ধা করি। মাসিমা-জেঠিমাদের জীবন তো দেখেছি। তাই নায়িকাদের সাথে পেশাদারী সম্পর্ক ছাড়া আমার আর কোনো অন্যরকম সম্পর্ক হয়নি তাদের সাথে’। এছাড়াও তাঁকে নিয়ে কেন কোনো গসিপ তৈরি হয়নি তা নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তখনকার অভিনেত্রীদের কাছে একটা নির্ভরতার জায়গা ছিল। সেই সময়ে যাদের সাথে তিনি কাজ করেছেন তারা সবাই ছিলেন খুব ভালো বন্ধু। একে অপরকে বন্ধু বলেই সম্বোধন করতেন।