স্টার জলসার ‘ধন্যি মেয়ে’ দিয়ে শুরু করেছিলেন অভিনয় যাত্রা। এই ধারাবাহিক সফল হলেও, বেশি সফল হয়েছিল তাঁর পরবর্তী ধারাবাহিক। সেই ধারাবাহিকের জন্যই সে সকলের কাছে জনপ্রিয়। সকলের প্রিয় বাহামণি রূপেই সে পরিচিত। আসল নামের থেকে এই চরিত্রের নামেই সে বেশি জনপ্রিয়। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রণিতা দাশের (Ranieeta Dash) কথাই বলছি।
সালটা ছিল ২০১১। এই সময় স্টার জলসায় বিরাজ করছে একটি নতুন ধারাবাহিক তাঁর নাম “ইষ্টিকুটুম”। এই ধারাবাহিক তখন সকলের কাছেই জনপ্রিয় ছিল। আর জনপ্রিয় ছিলেন বাহামণি। বাহামণি চরিত্রে প্রথম দিকে অভিনয় করেছিলেন রনিতা দাশ। কিন্তু পরবর্তী নায়িকা বদলে যায়, তাঁর বদলে আসে অন্য নায়িকা। সেই থেকেই আর দেখা যায়নি তাঁকে।
তিনি জানিয়েছিলেন ধারাবাহিকের চাপ নিতে পারছিলেন না বলে ধারাবাহিক ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর শরীরও সঙ্গ দিচ্ছিলনা। অন্যদিকে রনিতার প্রেমিক সৌপ্তিক চক্রবর্তীও (Souptik Chakraborty) একইসাথে ধারাবাহিক ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর তাতেই বিতর্ক বেড়েছে। ঠিক কী কারণে ধারাবাহিক ছাড়তে হয়? আসলে ইন্ডাস্ট্রি থেকে রনিতা এবং সৌপ্তিকের ওপর কেস দেওয়া হয়।
এমনকি প্রোডিউসর গিল্ড থেকে তাদের ব্যান করে দেওয়া হয়। আর তাই প্রচুর সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনের কাজ হারিয়ে ফেলে। সেই কারণে দুজনকে দেখা যায়না। ধারাবাহিক নির্মাতাদেরও ভাবতে হয় কাস্ট করার জন্য। এই দুই জুটিকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ‘মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য’ ধারাবাহিকে। সৌপ্তিক এখন পরিচালনার কাজে ব্যস্ত। আর রনিতা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ধারাবাহিকে ফেরার জন্য।
রনিতা জানান, ‘ইষ্টিকুটুম ছাড়ার পর আমার বিরুদ্ধে কেশ হয়, পরে তা মিটেও যায়। আমি আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্য ছেড়েছিলাম। মেরুদন্ডে ব্যাথা হত, ওজন বেড়ে গিয়েছিল, ওভারিতে সমস্যা হত। সিরিয়াল না ছাড়লে মরেও যেতে পারতাম। অনেকেই আসল সত্যিটা জানেন না। তারা ভাবে আমার ট্যানট্রাম এর পিছনে দায়ী।’