স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’। এই ধারাবাহিক দেখেননি, এমন মানুষ খুব কম আছেন। ২০০৯ সালে এই ধারাবাহিক এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে মানুষের মনের মধ্যে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল। একটা আধুনিক নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির মাতৃহারা জেদী রাগী মেয়ে ললিতার বিয়ে হয়, একটা একান্নবর্তী যৌথ পরিবারে।
সে নিজকে মানিয়েই নিতে পারছিলনা, এই পরিবারের সাথে। তবে ধীরে ধীরে সে এই পরিবারকে ভালোবাসে। এই ধারাবাহিকে ললিতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন, অভিনেতা রাজদীপ গুপ্ত। তাদের পর্দার জুটি ঈশান এবং ললিতা সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এখনও মানুষ ঋতাভরীকে ললিতা বলেই চেনেন, আর রাজদীপকে ঈশান নামে।
তবে এই ললিতার চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, অর্থাৎ অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এই চরিত্রে অভিনয় করার কথা তাঁর ছিলনা। অভিনয় করার কথা ছিল, অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়ের (Twarita Chatterjee)। সেইসময় তিনি ছিলেন কলেজ স্টুডেন্ট। অভিনেত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করায় সেই সুযোগ চলে যায় ঋতাভরীর কাছে।
ত্বরিতা ২০০৮ সালে ম্যাডক্স স্কোয়ারে বন্ধুদের সাথে বসে পূজার আড্ডা দিচ্ছেন। সেইসময় এক চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরায় বন্দী হন ত্বরিতা। আর সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। আর সেই ছবি দেখে তাকে পছন্দ করেন রবি ওঝা। স্বয়ং রবি ওঝা নিজে তাঁকে চরিত্রের জন্য প্রস্তাব করেন। কিন্তু তিনি না বলে দেন।
View this post on Instagram
না বললেন কেন? আসলে তিনি বাড়ি থেকে অভিনয়ের জন্য অনুমতি পাননি। এর জন্য তার আফসোসও হয়। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর ছোটো থেকেই মা একা হাতে মানুষ করেছেন, মায়ের কোনো ধারণা ছিল না এই পেশা সম্পর্কে, তাই মা আমাকে অনুমতি দেননি। আমি তখন বুঝতে পারিনি, এই ধারাবাহিকটি এত সফল হবে। আক্ষেপ এটাই রবিজির সান্নিধ্যে আসতে পারলামনা, যদি আসতে পারতাম, তাহলে অনেক কিছুই শিখতাম।’
View this post on Instagram
সত্যি ভাগ্যের কি খেলা। এই ধারাবাহিক দিয়েই অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী আজ এত সফল। আজ যদি ত্বরিতা এই ধারাবাহিকটি করতেন তাহলে আজ তিনি কোথায় পৌঁছে যেতেন। অভিনেত্রী এইসব নিয়ে আর পিছনে পড়ে থাকতে চাননা। যা গেছে তা গেছেই। তবে অভিনেত্রী ত্বরিতাকে দেখা গেছে, জি বাংলার ‘কড়িখেলা’, ‘রানী রাসমণি’, ‘কাদম্বিনী’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে।