টেলি ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন তৃণা সাহা (Trina Saha)। যিনি তৃণা নয়, বরং গুনগুন হিসেবেই দর্শকের কাছে বেশি জনপ্রিয়। তিনি অনেক গুলি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন, কিন্তু তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট এই গুনগুন চরিত্রটি। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক তাঁকে এতটাই জনপ্রিয়তা দিয়েছে যে সকল অনুরাগীরা চেয়েছিলেন তাদের পছন্দের গুনগুনকে আবার দেখতে। আর সেই মতো তাদের গুনগুন আবার ফিরলেন নতুন ধারাবাহিকে।
ইতিমধ্যেই ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৬ টার সময় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’ (Balijhor)। ‘খড়কুটো’র সৌগুন জুটিকে দেখা যাচ্ছে এই ধারাবাহিকে। অর্থাৎ তৃণা সাহা এবং কৌশিক রায় রয়েছেন এই ধারাবাহিকে। আর রয়েছেন ‘ধুলোকণা’-খ্যাত ইন্দ্রাশিষ রায়ও। এটি একটি ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী। আবার সৌগুন জুটিকে পর্দায় দেখে বেশ খুশি হয়েছেন অনুরাগীরা। কিন্তু এই নতুন ধারাবাহিকে তৃণা কি সেই গুনগুন হিসেবেই ফিরেছেন? কি বললেন তৃণা দেখুন।
এই ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রের নাম ঝোরা। এই চরিত্র সম্পর্কে তিনি জানান, তিনি খুব খুশি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে কাজ করতে পেরে। এই চরিত্রটা গুনগুনের থেকে আলাদা। গুনগুন যেমন ছিল খামখেয়ালি, কিন্তু ঝোরা স্বভাবে বেশ পরিণত একটা চরিত্র। বেশ শক্তিশালী চরিত্র। সে ধনী পরিবারে বড় হলেও স্বভাবে নেই অহংকার। একজন সরল মনের মানুষ।
ঝোরা নামের অর্থ ঝর্ণা। লেখিকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই ঝোরা নামটা রেখেছেন। আর চরিত্রকেও ঝর্ণার মতো উজ্জ্বল ভাবে উপস্থাপন করেছেন দর্শকদের সামনে। সে খুবই সাদামাটা ভাবে জীবন কাটাতে ভালোবাসে । তাই তো সে সহজ সরল সাধারণ মানুষ স্রোতকে ভালোবাসে। কিন্তু তার বাবা সমুদ্র যখন তার মতো রাজনীতিবিদের আঙিনায় তৈরি হওয়া মহার্ঘ্যর সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা ঠিক করেন। তখনই ঝোরার জীবন ওলটপালট হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বালিঝড় দেখে সকলেই বেশ প্রশংসা করেছেন। এক অনুরাগী তাই লিখেছেন, ‘বালিঝড়ের প্রথম এপিসোড টা এককথায় জমজমাট। প্রথম দিনেই ঝোড়ার্ঘ্য তাঁদের কেমিস্ট্রি জমিয়ে দিয়েছে। স্রোতের পরিবারটাও খুব সুন্দর। সব মিলিয়ে দারুন হতে চলেছে বালিঝড়’।