সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo) মানেই বাঙালীর প্রেম দিবস। বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে (Valentine Day)। এই দিনের সাথে সকলের একটা আলাদা আবেগ জড়িয়ে থাকে। কারুর জীবনের প্রথম প্রেম, তো কেউ কেউ ফিরে যান স্কুলের দিনগুলোয়। আর এই দিন পুরোনো স্মৃতিতে ভাসলেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা মল্লিক (Ankita Mallick)। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri) তে জগদ্ধাত্রীর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে।
নবাগতা অভিনেত্রী হয়েও সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। তাঁর সুন্দর অভিনয় আর গল্পের কাহিনী দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। সামনেই ছিল সরস্বতী পূজা। সরস্বতী পূজা নিয়ে সকলেরই মনের মধ্যে একটা আলাদা ভালোলাগা কাজ করে , ভালো স্মৃতির উদ্রেক হয়। অভিনেত্রীর মনেও সেই স্মৃতির উদ্রেক হয়েছে। সরস্বতী পুজোর একটা পার্ট হল স্কুল। অভিনেত্রীর কাছেও তাই। অভিনেত্রী ছিলেন বিনোদিনী হাই স্কুলের ছাত্রী।
পুজোর কটা দিন স্কুলের কাজেই ব্যস্ত থাকতেন। অন্য স্কুলে নিমন্ত্রণ করতে যাওয়া, ঠাকুর আনতে যাওয়া, আলপনা দেওয়া। শুধু স্কুল নয়, সবকটা টিউশনে যাওয়া সবার সঙ্গে দেখা করা এইসব নিয়ে একটা আনন্দ ছিল। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এবারের সরস্বতী পুজোয় আমি ব্যস্ত শ্যুটিংয়ে। সরস্বতী পুজোটা আর আগের মতো নেই। এখন আর আগের মতো উৎসাহ নেই। তবে এটাও মন্দ অভিজ্ঞতা নয়।
আরও পড়ুনঃ বহুদিন পর ফিরছেন ‘ইচ্ছে পুতুল’এর জনপ্রিয় এই চরিত্র, অভিনেত্রীর কথায় বেজায় উৎসাহিত দর্শক
তবে আগে পুজোর দিন থেকেই বন্ধুদের ফোন করতাম, কে কি পড়বে, কোথায় কোথায় যাওয়া হবে। স্কুলে আবার খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল, বাড়িতে যেহেতু পুজো হত, তাই স্কুলে যেতে যেতে অর্ধেক বন্ধুদের খাওয়া হয়ে যেত। আবার একটি প্রশ্ন সবসময় ঘুরপাক খেত, কুপন নিয়ে গেলে কি খেতে দেবেনা?’ এই পুজোর আর একটা অংশ হল প্রেম। অভিনেত্রীর কথায়, ‘পুজো মানেই তো বন্ধু-বান্ধব, প্রেম আনন্দ সব মিলেমিশে এক।
সরস্বতী পুজোর প্রেম নিয়ে আমার একটা আলাদা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা আছে। স্কুলে পড়ার সময় ফেসবুকে আমার একটা ছেলেকে দেখে ভালো লাগত, কিন্তু সামনে থেকে যখন তাকে দেখলাম, সে খুবই বেঁটে। বেঁটে বলে ছোটো করছিনা। তবে যেটা আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। তাই আমি আর আমার বন্ধু খুবই হতাশ হয়েছিলাম।‘