Anondi : গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে জি বাংলায় (Zee Bangla) শুরু হয়েছে ‘আনন্দী’ সিরিয়ালটি। আনন্দী তার মিষ্টি কথায় রোগীর রোগের সাথে সাথে মনটাও ভালো করে দিতে পারে। আর আদিদেব কেবল ডাক্তারিতে বিশ্বাসী। সে বিশ্বাস করে কাজের জায়গা শুধুই কাজের জায়গা হয়। সেখানে মনের কোনো ভূমিকা থাকে না। আনন্দী আর আদিদেব এই দুই চরিত্রে দেখা যাচ্ছে পর্দায় জনপ্রিয় এক জুটিকে।
অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা আর অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জী। জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে যাদের জুটি হিসাবে প্রথমবার ফ্রেমবন্দি দেখেছিলেন দর্শক। সেই জুটির ম্যাজিক আজও ছড়িয়ে আছে দর্শকের মনে। তাই এই জুটিকে নতুন রূপে ফিরে পেয়ে বেশ আনন্দিত দর্শক। এই পর্যন্ত আনন্দী নজর কেড়েছে দর্শকদের।
শত কষ্টের মাঝেও অন্যের মুখে হাসি ফোটানোয় আনন্দীর জুড়ি মেলা ভার। সে নিজের কাজেও বেশ সিদ্ধহস্ত। আদিদেবের ঠাম্মির সেবা করতে গিয়ে সে তাদের আপনজন হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। প্রথম দিন থেকেই আনন্দী বুঝেছে গাঙ্গুলী বাড়িতে বাড়ির মহিলাদের অবস্থান ঠিক কোনখানে। বাড়ির মহিলাদের মানুষ বলেই গণ্য করা হয়না একপ্রকার।
আদির মায়ের অপমান হতে আনন্দী বেশ কষ্ট পায়। আদির মা কষ্ট সামলাতে না পেরে আনন্দীকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। বুকের ভিতরটা কষ্টে ফেটে যায় আনন্দীর। সে আর থাকতে না পেরে আদিদেবকে নিজের ভুলটা ধরিয়ে দেয়। তার মায়ের তিন তিনটে যোগ্য ছেলে থাকতেও তাকে কেন মুখ বুঝে অপমান সহ্য করতে হবে প্রশ্ন করে আনন্দী।
আনন্দীর কথায় ধাক্কা খায় আদিদেব। সে আর কালবিলম্ব না করে মায়ের অধিকার আর সন্মান চেয়ে নেয় তার বাবার কাছ থেকে। আদি তার বাবাকে জানায় সে তাদের হাসপাতালে জয়েন করবে কিন্তু কিছু শর্তের ভিত্তিতে। আর তার মুখ্য শর্ত থাকবে তার মা বোর্ড অফ ডিপার্টমেন্টের হেড হবে। সবাই একথা শুনে চমকে যায়। আর আনন্দী আর ঠাম্মি বেশ খুশি হয় আদিদেবের এমন সিদ্ধান্ত দেখে।