সূর্য-মিশকার সুখের সংসারে ভিক্ষুক দীপা-লাবণ্য, ফাঁস রুদ্ধশ্বাস পর্ব

Anurager Chowa : মেয়েদের নিয়ে ভিক্ষার বাটি হাতে মিশকার সামনে অসহায় দীপা

Nandini

anurager chowa serial deepa and labonyo begging infront of mishka and surja

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল ‘অনুরাগের ছোঁয়া'(Anurager Chowa)। একসময় টপার থাকলেও বর্তমানে এই ধারাবাহিকের স্থান টিআরপি তালিকায় পঞ্চম স্থানে পৌঁছেছে। টিআরপিতে টিকে থাকার লড়াইতে একের পর এক নতুন নতুন টুইস্ট দেখা যাচ্ছে সিরিয়ালে। সম্প্রতি, একটি প্রোমোও প্রকাশ পেয়েছে বসন্তে ভ্যালেন্টাইন উপলক্ষ্যে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দীপার দুই মেয়ে দীপা আর অর্জুনকে কাছাকাছি আনার চেষ্টা করছে।

যদিও এইরকম একটা টুইস্ট দর্শকের মোটেই পছন্দ নয়। দর্শক চান দীপার সাথে সূর্যরই যেন মিল হয়। সূর্য যতই খারাপ করে থাকুক সে দীপাকে ভালোবাসে। আর শেষ মুহূর্তে চলে যাওয়ার আগে সে যে অনুতপ্ত হয়েছে নিজের কাজের জন্য তা দর্শক স্পষ্ট দেখতে পেয়েছেন। সূর্য একপ্রকার তার পরিবারের কাছ থেকে দীপার কাছ থেকে হারিয়ে গেছে।

anurager chowa serial deepa and labonyo begging to mishka and surja

কেউই জানেনা সে কোথায়? দীপা নিজের মেয়েদের নিয়ে গোটা সেনগুপ্ত পরিবারকে নিয়ে এক কঠিন লড়াই লড়ে চলেছে। আর সূর্য নিজেকে সকলের থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে নিজের কাজ অর্থাৎ চিকিৎসায় মন দিয়েছে। সূর্যর জীবনেও ইরা নামক একজনের প্রবেশ ঘটেছে। সূর্য ইরাকে বিশেষ পাত্তা না দিলেও ইরা সূর্যর মুখে হাসি ফোটাতে বদ্ধপরিকর। এই নিয়ে দর্শক মহলের অনেকাংশে বেশ ক্ষুব্ধ। মিশকা জেলে থাকলেও তার কাজ পূরণ করে চলেছে মিশকার পাপাই।

anurager chowa serial deepa and labonyo begging to mishka

আরও পড়ুনঃ প্রতীক্ষার মুখে ঝামা ঘষে পুতুলের পাশে তীর্থ, ফাঁস ধুন্ধুমার পর্ব

সে সেনগুপ্ত বাড়িকে নিলামে তুলে দিয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দীপা আর পরিবারের সকলে মাইল না নিজেদের বাড়ি বাঁচাতে রুখে দাঁড়ায় আর নিলামিটা এই মুহূর্তে আটকে যায়। কিন্তু মিশকা জেলে বসেই জানতে পেরে গেছে যে সূর্য আর দীপা আর একসাথে নেই। তাই সে আনন্দে সকলকে ভালোমন্দ খাওয়াচ্ছে। আর হঠাৎ করেই দেখা যায় মিশকা বউ সেজে সূর্যর পাশাপাশি সেনগুপ্ত বাড়ির উপরতলা থেকে নেমে আসছে।

আর সেই সময় দীপা, লাবণ্য আর দীপার দুই মেয়ে সোনা রুপা ভিক্ষুক হয়ে মিশকার দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। তারা মিশকাকে বলে, ‘আজ অন্তত দুটো খেতে দাও মিশকা, অনেকদিন ভালো করে খাইনি। মেয়ে দুটোও অভুক্ত।’ এই শুনে মিশকা তাদের দয়া করে খেতে দেয় আর তারা প্রাণ ভরে খেতে থাকে। আসলে এই সবটাই ছিল মিশকার কল্পনা। নিজের অলীক সুখের কল্পনা করছে সে জেলে বসেই।

× close ad